ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাতামুহুরীর ভাঙ্গনে একাধিক সড়ক

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৩ আগস্ট ২০১৫

মাতামুহুরীর ভাঙ্গনে একাধিক সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে একাধিক সড়ক-উপসড়ক। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ওই নদীর দুই তীরে ভয়াবহ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদফা বন্যায় নদীতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের প্রচ- ধাক্কায় ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে পূর্ব বড় ভেওলা আনিছপাড়া অংশের কেবি জকরিয়া সড়ক। বিশাল আয়তনের সড়কের অংশ ভেঙ্গে পড়ে গেছে নদীতে। ঘটনার পর স্থানীয় স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙ্গে যাওয়া ওই অংশে মাটি ও বালির বস্তা ফেলে এবং গাছের স্পার দিয়ে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছে। স্থানীয় পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম খলিল বলেন, কয়েকদফা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানি কমে যাওয়ার পর থেকে মাতামুহুরী নদীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এতে আনিছপাড়া এলাকায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চিরিংগা-কেবি জকরিয়া সড়কের বিশাল অংশ ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বুধবার সকালে ভারি বর্ষণে মাতামুহুরীতে পাহাড়ী ঢল নামলে ফের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আনিছপাড়ার ওই অংশটি। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। পূর্ব বড় ভেওলার আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহিম বলেন, নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সড়কটি বর্তমানে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। ফলে যে কোন সময় সড়কে যানবাহন ও জন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, কোণাখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। গলাচিপায় ১০ দিনে শতাধিক বাড়িঘর নদীতে স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা থেকে জানান, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সাগর ঘেষা চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ইউনিয়নের চারদিক থেকেই নদী ও সাগর গ্রাস করে নিচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি, জমিজমা, রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, গাছপালা থেকে শুরু করে যাবতীয় সহায় সম্পদ। গত এক মাসে কেবলমাত্র বিবিরহাওলা ও গোলবুনিয়া গ্রাম দুটির শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘরসহ সবকিছু হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে অন্তত দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। ভাঙ্গনের ঝুঁকির মুখেও রয়েছে আরও কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। অন্যান্য গ্রামজুড়েও চলছে ভাঙ্গন। সরেজমিন ঘুরে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহ এ চিত্র দেখা গেছে। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে রাঙ্গাবালীর সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন চালিতাবুনিয়া। এর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি। পশ্চিমে রামনাবাদ, উত্তরে দাঁড়চিরা আর পূবে ডিগ্রী নদী। মাত্র ৯টি গ্রামের এ ইউনিয়নের চারদিকেই নদী ও সাগর থাকায় এটি অনেকটা ভাসমান দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে আছে। চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, গত কয়েক যুগ ধরেই চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন একটি ভাঙ্গন কবলিত দ্বীপ। এখানকার কয়েক হাজার পরিবার বিভিন্ন সময়ে ভাঙ্গনের কারণে সর্বস্ব হারিয়ে শহরের বস্তিবাসী হয়েছে। ভাঙ্গনের কারণে ইউনিয়নটি ক্রমে একটি গ্রামে রূপ নিচ্ছে। এ বছর ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার নিয়েছে।
×