ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শহুরে কৃষক নেতাদের প্রতি সৈয়দ আশরাফ

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গ্রামে যান

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ আগস্ট ২০১৫

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গ্রামে যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষই কৃষক। সেই কৃষকদের স্বার্থে কথা বলতে হবে, তাদের কাছে যেতে হবে। কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে কৃষক লীগকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই আমরা আরও শক্তিমান হব। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, কৃষিবিদরা যেমন কিংবদন্তি, তেমনি কৃষকরাও কিংবদন্তি। সেজন্য শহুরে কৃষক নেতাদের গ্রামে যেতে হবে। সাধারণ কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সাধারণ কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই আমরা শক্তিমান হব। কেননা কৃষকদের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি। তিনি বলেন, এক সময় ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগ ছিল আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। সেই ভূমিকা এখনও পালন করতে হবে। কৃষক লীগের পাশাপাশি অন্য সংগঠনগুলোকেও শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, আজ যখন তদন্তে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত হিসেবে উঠে এসেছে বিএনপির নেতাদের নাম। তখন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলছেন- সঠিক তদন্ত চাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। জজমিয়ার নাটক সাজিয়েছিলেন। তখন কী তদন্তের কথা ভুলে গিয়েছিলেন? নাকি তদন্ত সঠিক হয়নি। আজকে সঠিক তদন্ত হচ্ছে বলেই বিএনপি নেতাদের গা জ্বালা করছে। তিনি বলেন, জাতির সামনে স্পষ্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার গঠন করে গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এর পেছনে মূল কারিগরই ছিলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী। এ কারণেই মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এ ামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হবেই। হানিফ আরও বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘাতকরা এক ও অভিন্ন। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এই অশুভ শক্তির বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া হবে। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন- এমন কোন খবরও পাওয়া যায়নি। আর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের এজেন্ট। কারণ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দল চালাতে টাকা দেয়। বিএনপি নেত্রী নিলর্জ্জভাবে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা প্রমুখ। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এবারের লড়াই- নৌপরিবহনমন্ত্রী ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আমাদের প্রতিপক্ষ সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ। এদের বিরুদ্ধে আমাদের এবারের লড়াই। খালেদা জিয়ার অগণতান্ত্রিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা রাজপথে নেমেছিলেন। জনগণের আন্দোলনের কারণে বেগম জিয়া ঘরে ফিরে গিয়েছেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত এক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ আবদুল্লাহ বাবু, এবায়েদুল হক মুন্সী, খাজা হোসেন প্রমুখ। শাজাহান খান আরও বলেন, বেগম জিয়া হুকুম দিয়ে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও করেছেন, আগুন দিয়েছেন. ভাংচুর করেছেন। আমার প্রশ্ন এগুলো কী রাজনীতি? হুকুমদাতা হিসেবে বেগম জিয়ার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে। সব খুনের বিচার হলে বেগম জিয়ার হুকুমদাতা হিসেবে বিচার হবে না কেন। তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংস করা আমাদের কাজ নয়। কিন্তু বেগম জিয়া যে অন্যায় করেছেন তার বিচার হতে হবে। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে জাতির জনককে শ্রদ্ধা ॥ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ২২তম দিনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। আমরা বাংলাদেশে আর ১৫ ও ২১ আগস্ট দেখতে চাই না। বরং হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলম শাস্তি দেখতে চাই। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার ও ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আসাদুল ইসলাম, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মোঃ আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ডাঃ মোঃ আবু তাহের প্রমুখ।
×