ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনে এক বন্দুকধারীকে পাকড়াও করেছে যাত্রী হিসেবে থাকা তিন মার্কিন নাগরিক। তাদের সাহসিকতার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষ পদক দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে প্যারিসগামী ওই প্রচ- গতিতে ছুটতে থাকা ট্রেনে সশস্ত্র ওই ব্যক্তি তার একে-৪৭ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়ে। এতে দুজন আহত হয়। এর মধ্যে একজন মার্কিন সেনা রয়েছেন। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এই তিন মার্কিন নাগরিকের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা বীরোচিত কাজ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনায় যাত্রীদের প্রশংসা করেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে ওই দুই সেনার সাহসের প্রশংসা করে বলা হয়, এটা ‘আরও বেশি বেদনাদায়ক ঘটনায়’ রূপ নিতে পারত। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের এ্যারাসের কাছে হাইস্পিড ট্রেন সার্ভিস থ্যালিসে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনের শৌচাগারে গিয়ে একজন একে-৪৭ রাইফেলে গুলি ভরছিলেন। বাইরে থেকে এর শব্দ শুনতে পান ট্রেনের যাত্রী তিন মার্কিন নাগরিক। এই তিনজনের মধ্যে ছিলেন ছুটিতে থাকা দুজন মার্কিন মেরিন সেনা। তারা সতর্ক হয়ে যান। বন্দুকধারী ব্যক্তি বেরিয়ে আসা মাত্র অন্যদের নিয়ে তাকে জাপটে ধরেন তারা। এ সময় গুলিতে একজন মার্কিন সেনা সদস্যসহ দুজন আহত হয়েছেন বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে। পরে এ্যারাস স্টেশনে ট্রেনটি থামলে বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা হয়। মার্কিন ওই সেনাদর প্রশংসা করেছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা দুজনেই আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, অপরজন ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। ওই বন্দুকধারী ২৬ বছর বয়সী মরক্কোর নাগরিক। তার কাছে একটি একে-৪৭, একটি ছুরি, একটি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ও গুলি পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নাড ক্যাজেনেভ জানিয়েছেন, দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করছেন এবং বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য জানা যায়নি।
লন্ডনে আজ দূতাবাস খুলছে ইরান
ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে আবার দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে ইরান। রবিবারের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটেনে নিযুক্ত ইরানের অনাবাসিক চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মাদ হাসান হাবিবুল্লাহ জাদেহ এবং ইরান ও ব্রিটেনের কর্মকর্তাবৃন্দ। ইরানের সরকারী বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর দিয়েছে।
শনিবার তেহরানে ব্রিটেনের দূতাবাস আবার চালু করা হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড তেহরান সফরে এসে দূতাবাস উদ্বোধন করেন।
আশা করা হচ্ছে দূতাবাস চালু করার মধ্যদিয়ে ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। সেইসঙ্গে দু দেশের মধ্যকার ভিসা জটিলতারও নিরসন হবে।
২০১১ সালে ইরানের ওপর একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ব্রিটেনও তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর প্রতিবাদে তেহরানের ব্রিটিশ দূতাবাসে চড়াও হয় একদল ইরানী তরুণ। ওই ঘটনার পর ব্রিটেন তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। জবাবে ইরানও লন্ডনে দূতাবাস বন্ধ করে।