স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে উচ্ছৃঙ্খল এক ইজিবাইক চালকের ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর জখম ট্রাফিক পুলিশের অবস্থা মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকে যশোর শহর ও শহরতলী ইজিবাইক শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রাম থেকে শহরে আসা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বুধবার বিকেলে যশোর সদর ট্রাফিক অফিসের কনস্টেবল আব্দুল মান্নান দড়াটানা মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে চাঁচড়া এলাকার এক ইজিবাইক চালকের বাকবিত-া হয়। বাকবিত-ার পর ওই চালক হুমকি দিয়ে যায় মান্নানকে। এরপর রাত ৯টার দিকে ওই ইজিবাইক চালক আবার দড়াটানা মোড়ে এসে প্রকাশ্যে আব্দুল মান্নানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে শুক্রবার তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
ঘটনার পর সব চালকের মধ্যে আটক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। শহর ইজিবাইকশূন্য হয়ে পড়ে। শুক্রবারও শহরে কোন ইজিবাইক বের হয়নি। এদিকে ইজিবাইক না চলায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বাস থেকে শহরের পালবাড়ি, চাঁচড়া মোড়, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, মুড়লি মোড় কিংবা মনিহার এলাকায় নেমে শহরের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য ইজিবাইক পাচ্ছেন না। ইজিবাইক চলাচল না করায় শহরে রিক্সাচালকরা ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ আদায় করছে।
ট্রাফিক পুলিশ হত্যাচেষ্টা মামলায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়। তবে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত যুবককে আটক করা যায়নি।