ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার

২১ আগস্ট- রাষ্ট্রযন্ত্র ও সন্ত্রাস একাকার

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২১ আগস্ট ২০১৫

২১ আগস্ট- রাষ্ট্রযন্ত্র ও সন্ত্রাস একাকার

স্থান- রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ। যেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি লোকে লোকারণ্য থাকে। ২১ আগস্ট ২০০৪, পড়ন্ত বেলা হলেও সূর্যের দীপ্যমানতায় আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। ভাদ্রের ভেপসা গরম। তবে আকাশের ভাসমান খণ্ড খণ্ড মেঘের আবরণে সেদিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে। নেতাদের বক্তৃতা শুনছেন, শেখ হাসিনাও বক্তব্য শেষ করলেন। এমন একটা পরিবেশে কেউ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করেনি কেয়ামত আসন্ন। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষান্তে ট্রাকের ওপর নির্মিত মঞ্চকে ঘিরে গ্রেনেড আক্রমণ শুরু হলো। ২৪ জন নিহত, আহত আরও কয়েক শ’। লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। কিন্তু ভাগ্য বা দৈবগুণে অল্পের জন্য এ যাত্রায় তিনি রক্ষা পেলেন। সেদিনের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য এবং ঘটনার নেপথ্যের কারিগর ও আক্রমণকারীদের চেনার জন্য সে সময়ের প্রেক্ষাপটের একটু বর্ণনা দরকার বলে মনে করছি। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট। জামায়াতের দু’জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন। দু’জনই এখন ফাঁসির দ-ে দ-িত। নির্বাচনে জয়লাভের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী মানুষের ওপর ঝটিকা বাহিনীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ এবং গণহারে নারী নির্যাতন চালায়। উদার গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সংগঠন ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ওপর ধর্মান্ধ উগ্রবাদী জঙ্গীদের একের পর এক গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। পথ-প্রান্তর প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হতে থাকে। জঙ্গীরা এক সময় বিজয়ডঙ্কা বাজিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ চালায়। আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারক, বিদেশী রাষ্ট্রদূত কেউই রেহাই পান না। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত সরকার নির্বিকার। সব ঘটনাকে অস্বীকার এবং উপেক্ষা করে। জঙ্গীদের পরিবর্তে আটক করে জেলে ঢোকায় তাদের, যারা সারাজীবন সংগ্রাম করছে উগ্রবাদী জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে। স্মর্তব্য, ২০০২ সালে ময়মনসিংহের সিনেমা হলে জঙ্গীদের সিরিজ বোমা হামলার অভিযোগে আটক করে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরকে। আসামি করে আরও অনেককে, যারা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক ছিল, রাষ্ট্রের পাহারাদার ও জনমানুষের নিরাপত্তার জিম্মাদার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘মারাঠা দস্যুদের’ জন্য দুর্গের সকল দ্বার উন্মোচন করে দিল। তারা রবীন্দ্রনাথের দুর্গেশ দুসরাজ নয়, তস্কর বাহিনীর ভূমিকা নিল। তৎকালীন আইজিপি শহুদুল হক পরবর্তীতে তদন্তের সময় জবানবন্দীতে বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর হত্যাকা-ের সব আলামত মুছে ফেলার জন্য সবকিছু করা হয়েছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে (ইত্তেফাক, ৫ জানুয়ারি, ২০১০)। জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে যায়। ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে একই সঙ্গে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে প্রায় এক শ’র অধিক আহত এবং নিহত হন ১৯ জন। ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের সফিপুরে পাগলার মেলায় বোমা ফাটিয়ে মারা হয় ৮ জনকে, আহত হন ১৫ জন। ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি সিলেটের শাহজালালের মাজারে উরস অনুষ্ঠানে বোমার আঘাতে মারা যান ৫ জন, আহত হন প্রায় ৫০ জন। সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভায় বোমা হামলা হয়। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড মারা হয়। আনোয়ার চৌধুরীর তেমন কিছু না হলেও অন্য তিনজন নিহত হন, আহত হন আরও কয়েকজন। রাজশাহীর বাগমারায় তালেবান স্টাইলের ইসলামিক রাষ্ট্রের মুক্তাঞ্চল গঠন করে নিজের শাসন কায়েম করে জামায়াতের আন্ডারগ্রাউন্ড সশস্ত্র সংগঠন জেএমবির নেতা সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই। প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বিশ্বাসী মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করে বাংলা ভাইয়ের লোকেরা। ত্রাসের রাজত্ব কয়েমের জন্য মানুষের মৃতদেহ উল্টো করে গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে এলাকার মানুষকে ডেকে এনে ওই দৃশ্য দেখতে বাধ্য করা হয়। সরকার চোখ-কান বন্ধ করে সব অস্বীকার করে। ওই সময়ই ছাত্রশিবিরের এক কর্মিসভায় জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ঘোষণা দেন, ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ইসলামিক শরিয়া রাষ্ট্র বানানোর লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গোলাম আযমের এই ঘোষণার গুরুত্ব ও যথার্থতার আরও কিছু আলামত পরবর্তীতে পাওয়া যায়। তখনকার চারদলীয় জোট সরকারের শরিক জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাদের দাওয়াতে পাকিস্তানের জামায়াত এবং অন্যান্য উগ্রবাদী ইসলামিক দলের নেতারা দলবেঁধে ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করে। পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান ২০০৫ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন। তিনি ওই সময় সিলেটে বাংলাদেশী মৌলবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক যৌথসভায় ইসলাম রক্ষায় সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান (প্রথম আলো, ৫ মার্চ ২০০৫)। এসব দেখে দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশ্বখ্যাত সব পত্রিকায় বাংলাদেশে জঙ্গী উত্থান সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ পত্রিকায় ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ছাপা হয় বার্টিল লিন্টনারের সেই সাড়া জাগানিয়া লেখাÑ ‘ইধহমষধফবংযÑ অ পড়পড়ড়হ ড়ভ ঃবৎৎড়ৎ.’ নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে এলিজা গ্রিসউন্ড লেখেনÑ পরবর্তী ইসলামী বিপ্লব বাংলাদেশে।’ অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এই কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে যে প্রেক্ষাপটের বর্ণনা দিলাম, তাতে ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেয়া ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের মানুষের কী করণীয় ছিল? সাংগঠনিক শক্তি ব্যতিরেকে লক্ষ-কোটি মানুষ কিছু করতে পারে না। অসহায় ও নির্বাক হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকতে পারে। তাই যে দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে তাদের দায় রয়েছে, যে দায় তারা এড়াতে পারে না। দায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতার জন্য একাত্তরের ৭ মার্চ এ দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, নির্দেশ দিয়েছেন, একই ধারায় সেদিনের সমাবেশে দেশের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনা আহ্বান জানানÑ তারা যেন একাত্তরের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে উগ্রবাদী জঙ্গীদের কবল থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হন। এই আহ্বানটি যখন জানান তখন শেখ হাসিনা দেশের সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং তখনকার পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেত্রী। কোন ভুঁইফোড় দল প্রধান বা নেতা নন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত ছিল শেখ হাসিনা ও সমাবেশে আগত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু দেখা গেল ঠিক উল্টোটি। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সন্ত্রাসীরা অনায়াসে ঢুকে মঞ্চের ৩০-৪০ গজের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান নিয়ে মহাআত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলা চালায় মঞ্চকে লক্ষ্য করে, ঠিক সেই মুহূর্তে যখন শেখ হাসিনা বক্তৃতা সবেমাত্র শেষ করেছেন। অথচ মঞ্চ ঘিরে এবং সমাবেশের চতুর্দিকে শত শত পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল। এ কারণেই অনেকের কাছে মনে হয়েছে পুলিশ সেদিন ছিল সন্ত্রাসীদের কাজকে সহজ করে দেয়ার জন্য। প্রথমত, এটা কোন আত্মঘাতী আক্রমণ ছিল না। আক্রমণকারীরা কিভাবে এতটা নিশ্চিত হলো যে, এত নিবিড়ভাবে মোতায়েনকৃত পুলিশের ব্যারিকেড পেরিয়ে আক্রমণের পর তারা নিরাপদে চলে যেতে পারবে! এই সন্দেহটি আরও ঘনীভূত হয় যখন দেখা গেল আক্রমণের পর পর পুলিশ আক্রমণকারী জঙ্গীদের ধাওয়া না করে সমাবেশস্থলে মানুষের ভেতরে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং এক ধরনের ধোঁয়ার পর্দা বা স্মোক স্ক্রিন সৃষ্টি করে। এর ফলে আক্রমণকারীরা ধোঁয়ার আড়ালে সহজে পশ্চাদপসারণ করতে সক্ষম হয়। মানুষ সন্ত্রাসীদের চিনতে পারে না। যে কোন হত্যাকা-ের পর পুলিশের দায়িত্ব থাকে ঘটনাস্থল পাহারা দেয়া এবং সমস্ত আলামত অক্ষত রাখা। তদন্তের স্বার্থে সকল তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক ক্লিয়ারেন্স না দেয়া পর্যন্ত পুলিশী পাহারা অব্যাহত রাখতে হয়। এক্ষেত্রে দেখা গেল তেমন কোন পুলিশী পাহারা তো ছিলই না, বরং ঘটনা যে বিকেলে ঘটল তার পরের দিন সকালেই অপরাধের সমস্ত আলামত যেমন, গ্রেনেডের আঘাতে বিধ্বস্ত ট্রাক, পড়ে থাকা অবিস্ফোরিত গ্রেনেড সংরক্ষিত না করে ধ্বংস করা হলো এবং লোকজনের ফেলে যাওয়া জুতা-স্যান্ডেলসহ অন্য সবকিছু ঘটনার স্থান থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। স্থানটি পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। সুতরাং জঙ্গীদের আক্রমণ ও পশ্চাদপসরণের কৌশল, স্পটে নিয়োজিত পুলিশের ভূমিকা এবং ঘটনা-উত্তর জামায়াত-বিএনপি সরকারের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করলে ঘটনার সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ যথার্থ বলে মনে হয়। রাষ্ট্রের নিরপত্তা ব্যবস্থাকে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জে ফেলার মতো এত বড় একটি হত্যাকা-ের ঘটনাকে তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি সরকার কিভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে সে কাহিনী এখন দেশ-বিদেশের সব মানুষই জানেন। কিন্তু কথায় বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করলে সবকিছু উন্মোচিত হয়ে যায়। এ বিষয়ে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি হেডলাইন ও প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিচ্ছি। এক. হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বাবর (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) গ্রেনেড সরবরাহ করেছে। হরকাতুল জিহাদ ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে (ডেইলি স্টার, ২৭ অক্টোবর ২০০৯)। দুই. জঙ্গীদের সহায়তা করে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার একাংশ, জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনের স্বীকারোক্তি। আর্জেস গ্রেনেড আসে পাকিস্তান থেকে (প্রথম আলো, ১০ জানুয়ারি ২০১০)। তাছাড়া ডেইলি স্টারের ২৭ অক্টোবরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২১ আগস্টের আগে পরিকল্পনাকারী ও আক্রমণকারীরা হাওয়া ভবনে এবং প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় একাধিক সমন্বয় সভা করে। ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি সাহায্যে পাকিস্তানে পালিয়ে যায় গ্রেনেড সরবরাহকারী মাওলানা তাজউদ্দিন, যিনি প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই। সুতরাং এ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মনে হয়, সেদিন ২১ আগস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সন্ত্রাসী একাকার হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্টতম উদাহরণ। আগামীতে এই জঙ্গী-সন্ত্রাসী এবং তাদের নেপথ্যের শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাঙালী জাতিরাষ্ট্রের জন্ম প্রত্যয়ে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। বিশ্বাসে ও কর্মে প্রমাণ করতে হবে বাঙালী সেক্যুলার এবং গণতান্ত্রিক। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×