ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২০ আগস্ট ২০১৫

কুমিল্লায় শিক্ষা কর্মকর্তার  বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৯ আগস্ট ॥ দেবিদ্বার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইকবাল মনসুরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণসহ শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে আবেদন দাখিল করেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৪ দফা দুর্নীতি ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দেবিদ্বার উপজেলা এলাকায় শিক্ষক বদলি ও উপজেলার বাইরে বদলির ক্ষেত্রে নো-অবজেকশনপত্র প্রদান এবং এ উপজেলায় বদলি হয়ে আসা শিক্ষকদের থেকে ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ, ইবি ক্রসের জন্য ৭শ’ টাকা, টাইমস্কেল প্রাপ্তির জন্য ২ হাজার টাকা করে ১৫৩ শিক্ষক থেকে ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায়, আপগ্রেডে স্কেল ফিকসেশনের জন্য ১২শ’ শিক্ষক থেকে ১শ’ টাকা করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে ৬০ টাকা করে ১২শ’ শিক্ষক থেকে ৭২ হাজার টাকা আদায়, সিøপ প্রকল্পের হ্যান্ড মাইকের বিনিময়ে ১৮২ স্কুল থেকে ৪ হাজার টাকা করে ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ, সিলেবাস ও ফলাফল বিবরণী বিক্রি করে অর্ধ-লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮ টাকা করে ৪ লক্ষাধিক টাকা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৩ দপ্তরি কাম নাইট গার্ড নিয়োগে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ, বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য সরকারী বরাদ্দ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইকবাল মনসুর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন ওই উপজেলার বামনীসাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার রিপন। দেবিদ্বার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গুনাইঘর দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা আক্তার, সহ-সভাপতি ও দেবিদ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেলা বেগম মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ও আলমপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেনসহ ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন, এর আগেও শাহ্ মোঃ ইকবাল মনসুর এ উপজেলায় শিক্ষা অফিসার পদে দায়িত্বে ছিলেন। ওইসময় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে ২০১১ সালে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এসব বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইকবাল মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে এ ধরনের অভিযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের টাকা না দিয়ে পরে ফেরত দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×