ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামিন আবেদন নাকচ, শওকত মাহমুদ তিন দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২০ আগস্ট ২০১৫

জামিন আবেদন নাকচ, শওকত মাহমুদ তিন দিনের রিমান্ডে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের রমনা থানার নাশকতায় জামিন আবেদন নাকচ করে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তিনি এ রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে রমনা থানাধীন মগবাজার সার্কুলার রোডের সেলিব্রেশন কমিউনিটি সেন্টারের সমনে গত ৯ জানুয়ারি পার্কিং করা ঢাকা মেট্টো খ-১১-১৪৫৯ প্রাইভেটকারে শওকত মাহমুদের নির্দেশে বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা রাত সোয়া ১১টায় ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে নেয়। এতে গাড়িতে থাকা ড্রাইভার মোঃ আবুল কালাম মারাত্মক আহত হয়। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তাই মামলাটির এজাহারনামীয় এবং পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, শওকত মাহমুদ যাত্রাবাড়ী থানার ৫৮(১)১৫, ৫৯(১)১৫ এবং ৬১(১)১৫ নম্বর মামলার পলাতক আসামি। আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপির আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার, স্পেশাল পিপি সালমা হাই টুনি মামলা পরিচালনা করেন। এর আগে ডিবি পুলিশ রাজধানীর পান্থপথে সামারাই কনভেনশন সেন্টারের গেট থেকে গত ১৮ আগস্ট বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (বিএফইউজে) সভাপতি এ সাংবাদিক নেতাকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, রিমান্ড আবেদনকৃত ৯ জানুয়ারি ঘটনায় গত ১০ জানুয়ারি রমনা থানার এসআই আতিকুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। দুই বছর পর ফেলে। সাব্বির মাঝির গামবোট দিয়ে গভীর সাগরের মধ্যে অপেক্ষমাণ মালেশিয়াগামী জাহাজে উঠিয়ে দিয়ে আসে। জাহাজে উঠিয়ে দেয়ার জন্য সাব্বির মাঝিকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা এবং মুক্তিপণের জন্য দালালকে ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। অনাহারে-অর্ধাহারে জাহাজে করে ১৫ দিন পর নামিয়ে দেয় থাইল্যান্ডে তাদের বন্দীশালায়। আরও ১ লাখ ১০ হাজার টাকার জন্য আমাকে সীমাহীন নির্যাতন চালানো হয় থাই জঙ্গলে। মুক্তিপণ পেতে যত দেরি হয় নির্যাতনের মাত্রা তত বেড়ে যায়। দালালদের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ি থাই পুলিশের কাছে। পরবর্তীতে সরকারের সহায়তায় নিজ দেশে মা-বার কাছে ফিরে আসতে পেরে আমি সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তার পিতা আব্দুল করিম বলেন, মুক্তিপণ দিয়েছি ৭০ হাজার টাকা। এতে আমার দুঃখ নেই। তবে কষ্ট পাব তখনই- যখন দালালদের উপযুক্ত বিচার না হয়।
×