অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাইপলাইন প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ সময় দ্রুত প্রকল্প চূড়ান্ত করার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার এ নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে এই তাগিদ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ইআরডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চলতি বছর ৬ থেকে ৭টি প্রকল্পের বেশি হাতে নেয়া সম্ভব হবে না। সভা সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রে অতিরিক্ত অর্থায়ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটির বিষয়ে শীঘ্রই নেগোশিয়েশন হতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউহানেস জাট এবং প্রস্তাবিত ১৩টি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে বড় অঙ্কের ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি। আর্থিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। স্থানীয় বিনিময় হার অনুযায়ী যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বৈঠকে আলোচিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ঘোড়াশালের চতুর্থ ইউনিট বিদ্যুত কেন্দ্র সংস্কারে ২৫ কোটি ডলার, দক্ষতা এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার, যমুনা নদীর বাঁধ রক্ষায় ৬০ কোটি ডলার, নির্বাচিত কলেজের উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে অতিরিক্ত ১৮ কোটি ডলার, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলার, আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিতে ১৫ কোটি ডলার দেবে বিশ^ব্যাংক। এছাড়া নদীতে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২১ কোটি ডলার, জলবায়ু এবং আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা আধুনিকায়নে ৭ কোটি ডলার, বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে ৫ কোটি ডলার, বীমা খাতের উন্নয়নে ৫ কোটি ডলার।
এ ঋণের বিপরীতে বিশ^ব্যাংককে দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরের মধ্যে ঋণটি পরিশোধ করতে হবে।
বিশ^ব্যাংক উইংয়ের প্রধান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম বৈঠক বিষয়ে বলেন, পাইপলাইনে থাকা মোট ১৩টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ৬ থেকে ৭টি প্রকল্প নেয়া সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বব্যাংককে জানিয়েছি। যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প আগে প্রস্তত হবে এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে সেগুলো পরবর্তীতে চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যে পরিমাণ সহায়তা দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই রিভার ব্যাংক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের জন্য ৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট ফেজ -২ এর জন্য ১৮ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের বিষয়ে নেগোশিয়েশন সম্পূর্ণ হয়েছে।