ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছিটমহল বিনিময়ের পর কমেছে অপরাধ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৮ আগস্ট ২০১৫

ছিটমহল বিনিময়ের পর কমেছে অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ছিটমহল বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারীরা গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের ছিটমহলে লুকিয়ে থাকার আস্তানা ভেঙ্গে গেছে। ফলে অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি ছিটমহলের অভ্যন্তরে জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতার যে অভিযোগ উঠেছিল সেটিও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল পহেলা আগস্ট বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশের নতুন ভূ-খ-ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যা নীলফামারীতে ৪টি, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি ও কুড়িগ্রামে ১২টিসহ ১১১টি। বিলুপ্ত ছিটমহলে জেলার সীমানা অনুযায়ী পুলিশ স্ব-স্ব এলাকায় টহল জোরদার করেছে। এতেই অপরাধমূলক কর্মকা- কমেছে। এ সব বিলুপ্ত ছিটমহলে বর্তমান জনসংখ্যা ৪১ হাজার ৪৪৯ জন। সীমান্তবাসীদের সূত্র মতে, ভারত ও বাংলাদেশের ছিটমহলগুলো কার্যত এতদিন ছিল চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য। রাতের অন্ধকারে অনেক সময় দিনের বেলাতেও চোরাকারবারের জিনিস ওইসব এলাকায় মজুত করত দুষ্কৃতকারীরা। এ ছাড়াও অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত করে অপরাধীরা ছিটমহলবাসীকে ভয়ভিতি দেখিয়ে ছিটমহলে প্রবেশ করত। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের তাড়া করলে তারা আশ্রয় নিত ছিটমহলেই। সে সময় পুলিশ ছিটমহলের ভেতর যেতে পারত না। বাসিন্দারা অনেকেই বলেন, ছিটমহল বিলুপ্ত হওয়ার মাত্র ১৭ দিনেই বহিরাগত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের আনাগোনা আর নেই। এর পাশাপাশি ভারতের অভ্যন্তরে থাকা যে বাংলাদেশের ৫১ ছিটমহল ভারতের মূল ভু-খ-ের সঙ্গে মিশে গেছে সেই সব বিলুপ্ত ছিটমহলেও অপরাধ কমেছে। ওই বিলুপ্ত ছিটমহলে জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৮৫৬ জন। এতদিন কোচবিহার সীমান্তের ছিটমহলগুলো কার্যত এতদিন ছিল চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য। এখন সেই স্বর্গরাজ্য ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হাসান জানান, ‘ছিটমহল বিনিময়ে এলাকায় নজরদারীর ক্ষেত্রে পুলিশের অনেক সুবিধে হয়েছে। এর আগে ছিটমহলের ভেতরে একটি চক্র যে ধরনের অপরাধ সংগঠিত করত তা এখন করতে পারছে না। এতে এসব এলাকায় অপরাধকর্মকা- কমছে। এ্যাম্বুলেন্স থেকে কোটি টাকার ইয়াবা আটক স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থীদের চিকিৎসা সেবার কাজে নিয়োজিত এনজিও এমএসএফ হলান্ডের এ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। কিছুদিন ধরে চোরাচালানি সিন্ডিকেট ওই এনজিও কর্মীদের ইয়াবা বহন কাজে ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। উখিয়ার বালুখালী ও পার্শ্ববর্তী ঘুমধুমের পেশাদার ইয়াবা বিক্রেতাদের সাতজনের সিন্ডিকেট এমএসএফের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে ইয়াবার বড় বড় চালান সরবরাহ করে আসছে। স্থানীয় হিসেবে ওই সিন্ডিকেটে গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের স্থায়ী বাসিন্দা। খবর পেয়ে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের মরিচ্যা চেকপোস্টে এ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ দুই সরবরাহকারীকে আটক করেছে বিজিবি। ইয়াবা বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ এবং আটক করা হয়েছে রামু ধেচুয়াপালং এলাকার নজু মিয়ার পুত্র শফিউল আলম ও ঢাকা সাভারের গোপীনাথপুরের পরিমল রায়ের মেয়ে শিখা রানীকে। সোমবার ভোরে বিজিবি জওয়ানরা এ অভিযান চালায়। বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম জানান, এ্যাম্বুলেন্সসহ জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ হাজার টাকা। সূত্রে জানা গেছে, এমএসএফের দুই সুপার ভাইজার সাবেক শিবির ক্যাডার আবুল বশর, যুবদল কর্মী জামাল, কুতুপালং গ্রামের গোলাম আকবর, আটক গাড়ি চালক, নার্সসহ সবাই মিলে বালুখালীর বক্তার আহমদ প্রকাশ ইয়াবা বক্তারের বড় বড় চালান এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছে।
×