ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপা বাংলাদেশ না ভারতের- ফয়সালা আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৮ আগস্ট ২০১৫

শিরোপা বাংলাদেশ না ভারতের- ফয়সালা আজ

রুমেল খান ॥ ‘টুর্নামেন্টের শুরুতেই বলেছিলাম আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাই। এখন আমাদের সামনে চতুর্থ ধাপ। দেশবাসীর দোয়ায় আমরা ফাইনালেও জিতব। বিশেষভাবে সিলেটবাসীর কথা বলব। তারা প্রতি ম্যাচে মাঠে এসে সমর্থন দিয়েছেন। আমার ছেলেরা ফাইনাল খেলার জন্য পস্তুত। আশা করি তারা ভারতের বিপক্ষে ভাল খেলে দর্শকদের মন জয় করতে পারবে।’ কথাগুলো বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর। একদল এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিততে মরিয়া। আরেক দল তিন আসরে অংশ নিয়ে এই প্রথম ফাইনালে উঠে প্রথমবারের মতো শিরোপাজয়ের স্বপ্নে বিভোর। জিতবে কোন দল? তারই জবাব পেতে ফুটবলপ্রেমীদের চোখ রাখতে হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের পর্দায়। সাফ অনুর্ধ ১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জমজমাট ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ বনাম ভারত। মুখোমুখি পরিসংখ্যানে দু’দলই আছে সমান অবস্থানে। দুটি ম্যাচে প্রত্যেক দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ। ২০১৩ সালে নেপালের কাঠমান্ডুর আর্মি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে চলমান আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ। মজার বিষয়Ñ ‘এ’ গ্রুপের দুটি দলই এখন খেলতে যাচ্ছে ফাইনালে। যেখানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারতেরও বদলা নেয়ার সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শাওন হোসেন বলেন, ‘আমরা এতদিন কষ্ট করেছি ফাইনালে ওঠার জন্য। আমাদের চেষ্টা থাকবে নিজেদের সবটুকু দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ভারত অনেক ভাল দল। কিন্তু আমরা তাদের চেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে এগিয়ে। ইনশাল্লাহ আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।’ ভারতীয় কোচ বিতান সিং বলেন, ‘দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আমরা সৌভাগ্যবশত জিতেছি এবং ফাইনালে পৌঁছেছি। ফাইনালে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ। দর্শক সমর্থন তাদের পক্ষে থাকবে। তবে আমরা ফাইনালের লড়াইয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বাংলাদেশ দলকে সমীহ করি। শারীরিক, মানসিক, কৌশলগত সবদিক দিয়েই তারা ভাল করছে।’ এই টুর্নামেন্টটি এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে। নিজেদের মাটিতে ভাল করার লক্ষ্যে ট্যালেন্ট হান্ট করে গড়া বাংলাদেশ দলটি যে ভাল কিছু করতে পারবে এমনটা আগেই প্রত্যাশা করেছিলেন বাদল রায়, হাসানুজ্জামান খান বাবলুর মতো বাংলাদেশের সাবেক তারকা ফুটবলাররা। এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারায় শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ এবং ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়। সেমিতে আফগানিস্তানকে হারায় ১-০ গোলে। আর ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারায় এবং বাংলদেশের কাছে ১-২ গোলে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হয়। সেমিতে তারা ১-০ গোলে হারায় নেপালকে। ২০১১ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। সে আসরে ৬ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরেও স্বাগতিক ছিল নেপাল। সেবার সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। এখন দেখার বিষয়, এবারের আসরে প্রথমবারের মতো কাক্সিক্ষত ফাইনালে ওঠা স্বাগতিক বাংলাদেশ দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কি না।
×