ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাংস্কৃতিক আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১৭ আগস্ট ২০১৫

সাংস্কৃতিক আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গান, কবিতা, নৃত্যে স্মরিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তন শনিবার সন্ধ্যায় ছিল শিশুসহ সব বয়সী লোকের সরব উপস্থিতি। উদ্দেশ্য একটাই বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ। শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মাসব্যাপী এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠান শুরু হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা দিয়ে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম আক্তারী মমতাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি যার যার বঙ্গবন্ধু সবার। এই বিবেচনায় তাকে দল ও মতের উর্ধে থেকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। সেই সঙ্গে ইতিহাসের এই মহানায়ককে হত্যার নেপথ্যের সকল অপরাধীকে চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, নিজের পরিচয় তুলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বলা বা ভাববিনিময় করার সুযোগও আমার হয়নি। সম্ভবত আমার লেখা তিনি পড়েছেন। আমি আমার লেখায় তাঁকে ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তিনি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনককে হত্যার পর একই রাতে লেখা কবিতা ‘সেই রাতে কল্পকথা’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আলোচনা শেষে ‘ধন্য মুজিব ধন্য’ ও ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা’ দুটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি সঙ্গীত দল। ‘শোন একটি মুজিবরের’ গানের সঙ্গে তামান্না রহমানের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম, ‘তুমি নেই আজ এ কথা ভাবতে পারি না’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী সুবর্ণা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জমশের আলী দেওয়ান, ‘যার মাথায় ইতিহাসের জ্যোতির্বলয়’ আবৃত্তি করেন ঝর্ণা সরকার, ‘সাড়ে সাত কোটি’ শিরোনামের সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল, সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি নৃত্য দল, ‘আমি হিমালয়ের মতো বিশাল হৃদয় দেখেছি’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শিবু রায়, ‘বাংলা মায়ের কোল আলো করে’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী সালমা চৌধুরী, একক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী কৃষ্টি হেফাজ, ‘মুজিব মানে আর কিছু নয়’ গানের সঙ্গে অনিক বোসের নৃত্য পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন, ‘শোন সেই কালো রাতের কথা’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করে সাধনা মিত্র, ‘মুজিব আমার স্বপ্ন সাহস মুজিব জাতির পিতা’ ও ‘মুজিব আমার মায়ের বুলি’ পর পর দুটি একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফকির আলমগীর, ‘দুঃখিনী বাংলা জননী বাংলা’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী ইয়াসমীন আলী, ‘আসুন পিতা’ আবৃত্তি করেন শাহাদৎ হোসেন নিপু, ‘জীবনের প্রতিক্ষণ অপরাধী করে মন’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শারমিন সুলতানা, ‘মুজিব আছে বাংলার ঘরে ঘরে’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাজেদ আকবর। এছাড়া একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী আশরাফ উদাস। শিশু একাডেমির অনুষ্ঠান স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শনিবার ছিল সমাপনী দিন। এদিন সকালে ধানম-ি বত্রিশ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একাডেমির পরিচালকের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। দুপুরে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিকালে একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক ২৫টি বই নিয়ে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব নাসিমা বেগম। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান, লেখক ও কলামিস্ট ড. মুনতাসীর মামুন, সুব্রত বড়–য়া ও শাহজাহান কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
×