নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, সাপাহারে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি ঘরানার প্রভাবশালী ফজলু হাজির ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে সুবিচার পাবার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি গৃহবধূ সাবিনা খাতুন। নিজ পিতা-মাতার সহযোগিতায় ওই লম্পট ফজলু হাজী শুধু ধর্ষণ আর শারীরিক নির্যাতনই নয়, গৃহবধূ সাবিনাকে তার স্বামী-সন্তানসহ সপরিবারে হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এমন অবস্থায় রবিবার সকাল ১০টায় জেলার সাপাহার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার প্রার্থী হলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী এন্তাজ আলীও উপস্থিতি ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা খাতুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে করতে ডুকরে কেঁদে উঠেন। তিনি বলেন, বিগত ২০০৫ সালে সাবিনার ঝিনাইদহ জেলায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর সাবিনার জীবনে নেমে আসে নির্যাতনের ঝড়। একই গ্রাম গোয়ালা কদমডাঙ্গার চিহ্নিত জামায়াত ঘরানার লম্পট ফজলু হাজির কুনজর পড়ে সাবিনার ওপর। এক সময় তার অর্থ লোভী পিতা-মাতাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সাবিনার স্বামীকে হুমকি-ধমকি ও থানায় তার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাবিনাকে তার স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে সাবিনার পিতা-মাতাকে ১২ বিঘা জমি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফজলু হাজী সাবিনাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রলোভনে পড়ে সাবিনার পিতা-মাতা রাজি হলেও সাবিনা কিছুতেই রাজি হয় না। কিন্তু লাভ হয়নি। এক রাতে ফজলু হাজী সাবিনাকে ঘরে একা পেয়ে পবিত্র কোরান শরীফ হাতে নিয়ে তাকে বিয়ে করার শপথ করে। ফজলু এ ধরনের কথায় সাবিনা কিছুতেই রাজি না হওয়ায় লম্পট ফজলু সে রাতেই তার পিতা-মাতার সমর্থনে সাবিনাকে ধর্ষণ করে। এভাবে প্রায় দুই বছর ধরে সাবিনা ফজলুর হাজীর কাছে মিথ্যে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ আর নির্যাতনের শিকার হন। একপর্যায়ে সাবিনার পিতা-মাতাও লম্পট ফজলুর আশা ছেড়ে দিয়ে সাবিনাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। আর এ বিয়ের পরেই ফজলু আবারও ফুঁসে ওঠে এবং সাবিনার দ্বিতীয় স্বামীকে হুমকি দিয়ে সাবিনাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এরপর থেকে ফজলু তার নিজের বাড়ি ও সাবিনার পিতার বাড়িতে নিয়মিত ধর্ষণ করত তাকে। শুধু তাই নয়, মদমাতাল লম্পট ফজলু অন্যদের দিয়েও সাবিনাকে ধর্ষণ করিয়েছে।