ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হেরাথের দুঃখ

সংক্ষিপ্ত সংবাদ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৭ আগস্ট ২০১৫

সংক্ষিপ্ত সংবাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার নাটকীয় জয়ের রূপকার রঙ্গনা হেরাথ। ১৭৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে নামা ভারতকে ১১২Ñএ গুড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ৪৮ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের একাই ধসিয়ে দেন হেরাথ। অনেকে বলেন, লঙ্কান ক্রিকটে তার জন্মটা ভুল সময়ে। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হয়েও মুত্তিয়া মুরলিধরনের ছায়ায় ঢাকা পড়েছেন। কখনই নির্বাচকদের সুদৃষ্টি পাননি। পান থেকে চুন খসলে দলে জায়গা হারাতে হয়েছে। কষ্টটা গোপন করেননি ৩৭ বছর বয়সী এই ঘূর্ণিতারকা। হেরাথ বলেন, ‘গত পাকিস্তান সিরিজেই প্রথম টেস্ট দল থেকে বাদ পড়িনি। ক্যারিয়ারে অগনিতবার বাদ পড়েছি। আবার ফিরেও এসেছি। বাদ পড়াটা আমার কাছে ডাল-ভাত হয়ে গেছে!’ ঠিক আগের সিরিজেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হুট করে বাদ পড়া প্রসঙ্গে অনেকটা অভিমানের সুর হেরাথের কণ্ঠে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারের ক্যারিয়ারে খারাপ সময় আসে। নির্বাচকদের কাছ থেকে সে তখন সহযোগিতা পায়। তাকে সময় দেয়া হয়। তার অতীতের পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে, ভাল কিছু করেও বাদ পড়তে হয়েছে।’ ৭/৪৮Ñ মুত্তিয়া মুরলিধরনের পর গলে চতুর্থ ইনিংসে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের নজির। ৬১ টেস্টে হেরাথের উইকেট ২৭০Ñ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (৩৬২) ও ডেরেক আন্ডারউডের (২৯৭) পর বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। পারলেন না সাইনা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হেরে গেছেন ভারতীয় সেনসেশন সাইনা নেহওয়াল। রবিবার মারিনের কাছে ২১-১৬ এবং ২১-১৯ ফলাফলে হেরে যান সাইনা। পুরনো শত্রু এই স্প্যানিশ তারকার বিপক্ষে প্রতিশোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া হয়ে গেল তার। অন্যদিকে, নিজের এক নম্বর স্থান দখল করে রাখলেন মারিন। তবে দুটো গেমেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। প্রথম গেমে মারিনের থেকে পয়েন্টে বেশ কিছুটা ফারাক থাকলেও দ্বিতীয় গেমে শেষের দিকে কিন্তু সেই পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনেন সাইনা। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় গেমে মারিনের কাছে ২ পয়েন্টে হেরে যান সাইনা। টি২০Ñ দারুণ জয়ে কিউইদের সমতা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় টি২০তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২ রানের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১এ সমতায় শেষ করল সফরকারী কিউইরা। সেঞ্চুরিয়নে মূলত অতিথিদের সাফল্যের ভীত রচে দেন ব্যাটসম্যানরা, যেখানে আলো ছড়ান মার্টিন গাপটিল। ৩৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬০ রান করে আউট হন নিউজিল্যান্ড ওপেনার। কেন উইলিয়ামসন খেলেন ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৪ চার ও ১ ছক্কা। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন জিমি নিশাম। শেষদিকে কলিন মুনরো ৭ বলে ১৮ এবং এ্যাডাম মিলনে ৭ বলে করেন ১০ রান করলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের বড় স্কোর পায় উইলিয়ামসনের দল। স্বাগতিকদের হয়ে কাগিসো রাবাদা ৩, এ্যারন ফ্যাঙ্গিসো ও ডেভিড ওয়াইজ নেন ১টি করে উইকেট। জবাবে আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। ফারহান বিহারদিয়ান ২৭ বলে ৩৬, ডেভিড মিলার ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন। রাইলি রুশো ২৬ এবং অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ফেরেন ১৫ রান করে। ৮ উইকেটে ১৪৫Ñএ থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে নাথান ম্যাককুলাম, মিচেল ম্যাকক্লেনঘান, ইস সোধি প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ১৭৭/৭ (২০ ওভার), দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৫/৮ (২০ ওভার) উল ॥ নিউজিল্যান্ড ৩২ রানে জয়ী সিরিজ ॥ দুই ম্যাচের টি২০ ১-১এ সমতা। ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল আর্সেনালের প্রথম জয় স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে নতুন মৌসুমে প্রথম জয় পেয়েছে আর্সেনাল। রবিবার রাতে এ্যাওয়ে ম্যাচে গানার্সরা ২-১ গোলে পরাজিত করে স্বাগতিক ক্রিস্টাল প্যালেসকে। তবে জয় পেতে সৌভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে। ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডেলেনের আত্মঘাতী গোলে জয় পায় আর্সেনাল। এর আগে ম্যাচের ১৬ মিনিটে অলিভিয়ের জিরুডের গোলে এগিয়ে যায় গানার্সরা। কিন্তু ২৮ মিনিটে ওয়ার্ডের গোলে সমতা ফেরায় ক্রিস্টাল। মৌসুম শুরুর আগে হাঁকডাক ভালই দিয়েছেন ওয়েঙ্গার। চেলসিকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড কাপ জিতে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছিল গানার্সদের। কিন্তু ইপিএলের নতুন মৌসুমের শুরুতে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খান ওজিল, রামসে, চেকরা। আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করার পাশাপাশি চমক দেখায় ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড। সেই ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। বড় জয়ে শুরু বরুসিয়ার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বড় জয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার নতুন মৌসুম শুরু করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। শনিবার রাতে ২০১৫-১৬ মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বরুসিয়া ৪-০ গোলে পরাজিত করে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডব্যাচকে। কোচ জার্গেন ক্লপের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শুরুতেই সফলতা পেয়েছেন সাবেক জার্মান ডিফেন্ডার টমাস টাচেল। ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৫ মিনিটে জাপানের স্ট্রাইকার সিঞ্জি কাগওয়ার সহযোগিতায় বরুসিয়াকে প্রথম গোল উপহার দেন মার্কো রিউস। ২১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্ট্রাইকার পিয়েরে এমেরিক অবামিয়াং। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এমেরিকের পাস থেকে গোলটি করেন আর্মেনিয়ান মিডফিল্ডার হেনরিখ এমখিটারিয়ান। বিরতির পর ৫০ মিনিটে জার্মান তারকা রিউসের বাড়ানো বলে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন হেনরিখ। ম্যাচের শেষ ৪০ মিনিটে রিউস-গুন্ডোজানরা আর গোলের দেখা পাননি। এরপরও দাপুটে জয়ে মিশন শুরু করেছে আটবারের বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার হামবার্গকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নতুন মৌসুমে শুভসূচনা করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন মিউনিখ। এ্যাটলেটিকো চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট ট্রোফেও ক্যারাঞ্জার শিরোপা জিতেছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শনিবার রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এ্যাটলেটিকো ৩-০ গোলে পরাজিত করে রিয়াল বেটিসকে। রামোন দ্য ক্যারাঞ্জা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৬১তম আসরের ফাইনালে সহজেই জয় পায় দিয়াগো সিমিওনের দল। আবাহনী-মোহামেডান মর্যাদার লড়াইয়ে কেউ হারেনি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দিনের প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে রানার্সআপ ট্রফি নিশ্চিত করে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আর শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব আরও আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল। সে কারণেই হয় তো দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের মধ্যে ম্যাচটায় জয়ের চেষ্টা কম ছিল উভয় দলেরই। কারণ জিতলে হয় তো এগিয়ে যাওয়া যাবে কিন্তু হারলে পিছিয়ে পড়তে হবে আরও। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়ে স্বস্তিতেই মাঠ ছেড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এ দুটি দল। রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডান চলতি মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ শেষ করেছে ২০ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে। এখন পর্যন্ত তৃতীয় অবস্থানেই আছে তারা। তবে ১৯ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর এখনও সুযোগ আছে তৃতীয় স্থান দখলের। সে জন্য অবশ্য শেষ লীগ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের। জিতে গেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার কারণে তৃতীয় হওয়ার সুযোগ থাকবে আবাহনীর। চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়, দিনের প্রথম ম্যাচে নিশ্চিত হয়ে গেছে রানার্সআপও হওয়া অসম্ভব। তবু উত্তেজনার কমতি ছিল না। কারণ দেশের সেরা দুটি ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। কোন পর্যায় বা পরিস্থিতিতে মুখোমুখি লড়াই সেটা বিবেচ্য নয়, চিরশত্রু বলে কথা। তাই উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ঠিকই ছিল। তবে সেটা স্পর্শ করেনি দু’দলের খেলোয়াড়দের। ম্যাচ শুরুর পরই তা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল। প্রতিপক্ষকে আক্রমণের তেমন কোন প্রচেষ্টাই দেখা যায়নি দু’দলের মধ্যে। অগোছালো আর ম্যাঁড়মেঁড়ে খেলা উপহার দিয়েছে তারা। প্রথমার্ধে বলার মতো একটিই আক্রমণ হয়েছে। ১৪ মিনিটের সময় দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। সাদা-কালো জার্সিধারী মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি দারুণ একটি ক্রস করেছিলেন ডানপ্রান্ত থেকে। কিন্তু তাদের ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা হেড করলেও সরাসরি আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ জিয়ার হাতে জমা পড়ে। ফলে সেটা সফলতার মুখ দেখেনি। বাকিটা সময় অগোছালোভাবে খেলে গেছে উভয়দল। প্রথমার্ধ শেষ হয়ে যায় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী কিছুটা আক্রমণের দিকে মনোনিবেশ করে। কিন্তু যুতসই কোনকিছু সুশৃঙ্খলভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সংঘবদ্ধভাবে কোন ভাল আক্রমণ শাণাতে পারেনি মোহামেডানও। অবশ্য ৬৬ মিনিটে আবাহনী একটা ভাল সুযোগ পেয়েছিল। দলের মিডফিল্ডার আব্দুল বাতেন মজুমদার দারুণ এক বাঁকানো ক্রস করেছিলেন। ডানপ্রান্ত থেকে তার বাড়ানো এ বলে হেডও নিয়েছিলেন গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড আবদাউ ডার্বো। কিন্তু সেটা গোলপোস্টের সাইড বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ফলে নস্যাৎ হয়ে যায় আবাহনীর একটি সুযোগ। বাকি সময়টা আর কোন গোছানো আক্রমণ করতে পারেনি কোন দলই। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দু’দল।
×