ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তালিকায় জায়গা হয়নি মেসির, তিনে সেরেনা, পাঁচে নেইমার, আটে শারাপোভা, আঠারোতম সাইনা নেহওয়াল ও বিশ নম্বরে আফ্রিদি

সেরা দানবীর রোনাল্ডো

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৭ আগস্ট ২০১৫

সেরা দানবীর রোনাল্ডো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিছুদিন আগেও শিশুদের জন্য দান করেছেন লিওনেল মেসি। তবে নিজ দেশে বন্যার্তদের জন্য সাহায্যের আবেদন জানালেও নিজের কিছু দেয়ার কথা জানা যায়নি। তাহলে কি কাজের চেয়ে কথা বেশি বলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক! এর মাশুলই হয়ত তাকে দিতে হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দানশীল ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের তালিকাতেই নাম নেই মেসির। অথচ এই তালিকায় সবার সেরা হয়েছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মেসির চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থেকে দাতব্য কার্যক্রমে এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের এক ওয়েবসাইট ‘এ্যাথলেটস গন গুড’ সম্প্রতি দাতব্য কার্যক্রম করছেন এমন কিছু খেলোয়াড়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। দানশীল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নির্বাচনে এ্যাথলেটিকস গন গুডের সঙ্গে একত্রে কাজ করেছে ‘ডুসামথিং ডট অরগানাইজিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের সহায়তায় মোট ২০ তারকা খেলোয়াড়কে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। অবাক করা ব্যাপার, ২০ জনের এই তালিকায় নেই মেসির নাম। তালিকায় তিন নম্বরে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়াম। পাঁচ নম্বরে আছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমার। রাশিয়ান টেনিস সুন্দরী মারিয়া শারাপোভার অবস্থান আট নম্বরে। এই তালিকায় ঢুকে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল। তার অবস্থান ১৮ নম্বরে। সেরার বিশের শেষস্থানে আছেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। জরিপের শীর্ষ স্থান পাওয়া রিয়াল তারকা রোনাল্ডো ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচারের জন্য এগিয়ে আসেন। এজন্য তিনি ৮৩ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। নিজের জন্মভূমি পর্তুগালের মাদেইরা ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দেন ‘সি আর সেভেন’। ২০০৮ সালে সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়েছিলেন রোনাল্ডোর মা ডোরোরেস এ্যাভেরো। ২০১২ সালে গাজার শিশুদের জন্য তার গোল্ডেন বুট নিলামে তুলে জোগাড় করে দিয়েছিলেন ১৫ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)। তাই সঙ্গতকারণেই এই তালিকার এক নম্বর স্থান পেয়েছেন রোনাল্ডো। সি আর সেভেনের সঙ্গে এই তালিকায় মেসি না থাকলেও আছেন নেইমার। তার অবস্থান পঞ্চম। রোনাল্ডোর পরে দ্বিতীয় স্থানটি রেসলার জন সেনার। কিছুদিন আগেই বিজ্ঞাপন মূল্যের দিক দিয়ে প্রভাবশালীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। ওই তালিকায়ও ছিলেন রোনাল্ডো ও নেইমার। ওই তালিকায় ছিল মেসি ছাড়াও ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম।। কিন্তু এবার দাতব্য কার্যক্রমের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি এদের কাউকেই। আট নম্বরে আছেন রুশ টেনিস তারকা শারাপোভা। দিন কয়েক আগে আবারও নারী এ্যাথলেটদের মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস এর মতে, সর্বোচ্চ আয়ের দিক দিয়ে নারী ক্রীড়াবিদের তালিকায় আবারও শীর্ষে থাকা শারাপোভা এ নিয়ে টানা ১১ বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। আয় করা অর্থ যে পরপোকারে কম বিলিয়ে দেন না সে প্রমাণ আরও একবার রেখেছেন রাশান ডার্লিং। ২০০৭ সালে ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা মেসির নাম এ তালিকায় না থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে দানের দিক দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা অনেক পেছনে থাকাতেই তিনি তালিকায় আসেননি। তবে সম্প্রতি আর্জেন্টিনার অভাবগ্রস্ত শিশুদের জন্য ইউনিসেফকে আর্জেন্টাইন মুদ্রায় ৪৫ লাখ অর্থ দিয়েছেন বার্সা তারকা। যা প্রায় পাঁচ লাখ ডলারের সমান। ২০১০ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর থেকে শিশুদের অধিকার রক্ষার কাজে মেসি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে নিজ শহর রোজারিওতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালে ছয় লাখ ইউরো’র অর্থ সহায়তা দেন চারবারের এ বিশ্বসেরা খেলোয়াড়।
×