ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত হাটে কেনাবেচার পণ্যের তালিকায় গরু চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৭ আগস্ট ২০১৫

সীমান্ত হাটে কেনাবেচার পণ্যের  তালিকায় গরু চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে পণ্যের তালিকায় গরুও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ঢাকা। এ জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট (বর্ডার হাট) বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়নসংক্রান্ত বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া এখনও বাকি। বাংলাদেশের গরুর চাহিদার একটি বড় অংশ প্রতিবেশী দেশটির মাধ্যমে পূরণ হলেও বৈধভাবে ভারত থেকে গরু আসে না। গত বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতে ক্ষমতায় বসার পর গরু চোরাচালান বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশে সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সীমান্তে গুলির ঘটনা কমাতে ভারত থেকে গরু বৈধভাবে রফতনির পক্ষে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারাও ইতোপূর্বে মত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ রায় বলেন, ‘বিজিবির পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও জোরালো দাবি আছে। যেহেতু ভারতে বিষয়টি স্পর্শকাতর, সেজন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাচ্ছি না। অনানুষ্ঠানিকভাবে উভয়পক্ষ সম্মত হলেই এটা নিয়ে এগোব।’ বর্তমানে সীমান্ত হাটগুলোতে প্লাস্টিক, মেলামাইন, তরিতরকারি, শাড়িসহ স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে শিক্ষা উপকরণ, জুতো-স্যান্ডেল বিক্রির প্রস্তাব করছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের সুবিধায় সীমান্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে দুটি হাট স্থাপনের কথা থাকলেও দুই দেশের জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি হাট চালু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, সুনামগঞ্জের লাউয়াগড় ও ফেনীর ছাগলনাইয়াতে এ তিনটি হাট রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে। বর্তমানে সীমান্ত হাটে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০০ ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য কিনতে পারতেন। এই অঙ্ক ২০০ ডলার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
×