স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোক দিবস পালনের দিনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। শনিবার গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে কেক কাটার মুহূর্তে নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের পরিবর্তে শোকের যে ছায়া ফুটে উঠেছে তা আলোকচিত্রে উঠে এসেছে। রবিবার বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও শোকের বার্তা বহন করছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য, প্রকাশিত এ ছবিটিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতাদের অঙ্গভঙ্গিতে শোকের বিষয়টি উঠে এসেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে পুরোদেশ যেখানে শোক পালন করছে সেখানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেছে। বেগম জিয়ার সত্তর বছরে পর্দাপন উপলক্ষে ৭০ পাউন্ডের কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের আয়োজন করা হয় গুলশান কার্যালয়ে। রাত সোয়া ৯টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে এ আনন্দ উৎসব পালনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগের চেষ্টা করলেও অনুষ্ঠানে আগতদের মাঝে আলোকচিত্রীদের ছবিতে ফুটে উঠেছে শোকাবহ পরিবেশ। উল্লেখ্য, বিএনপি নেত্রী ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করলেও পাসপোর্টে ১৯৪৬ সাল অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফেইসবুকের একটি ছবিতে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬ লেখা রয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাবা এস্কান্দার মজুমদারের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে হলেও চাকরির সুবাদে দিনাজপুরে বাস করতেন। সে সুবাদে খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তবে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ বিভিন্ন তারিখের হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে তাঁর সঠিক জন্মদিন কোনটি?
এদিকে, গুলশান কার্যালয় থেকে তোলা আলোকচিত্র ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ওই আলোকচিত্রে দেখা গেছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শোকের ছায়া। কারণ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যদের দেখা গেছে শোকাবহ পরিস্থিতির পরিবেশে। প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত বেগম জিয়ার জন্মদিন পালনের ছবি প্রকারান্তরে শোকের ছায়া বহন করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: