ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

মির্জাপুরে চেতনানাশক ইনজেকশন সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৫ আগস্ট ২০১৫

মির্জাপুরে চেতনানাশক  ইনজেকশন সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১৪ আগস্ট ॥ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্থানীয়ভাবে কার্যকরী চেতনানাশক জেসোকেইন ২% লিডোকেইন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ইনজেকশনের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ওষুধ বিপণনে এই গুরুত্বপূর্ণ আইটেমটির সঙ্কট দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর দিকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা জেসোকেইন ২% অনুভূতি নাশক ইনজেকশনটি কৌশলে বাজার থেকে কিনে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তা উচ্চ মূলে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। মির্জাপুরসহ আশপাশের ওষুধের মার্কেট ও হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেসোকেইন ২% লিডোকেইন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ইনজেকশনটি দেশের গুটি কয়েক ওষুধ কোম্পানি উৎপাদন করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেসন ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল। গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদিত অনুভূতিনাশক ইনজেকশন জি জেসোকেইন দীর্ঘদিন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। অপর দিকে জেসন ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ এর উৎপাদিত জেসোকেইন ইনজেকশনটি গত প্রায় ৪ মাস যাবত কোম্পানির নানা সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে পারছে না বলে কোম্পানির স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন। সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ এই ইনজেকশনটি বাজারে চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জেসোকেইন ইনজেকশনটির মূল্য ২৮ টাকা ৬৫ পয়সা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ গুণ/ ১৫ গুণ বেশি মূল্যে। বেসরকারী হাসপাতাল মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ডাঃ আনোয়ারুল কাদের সাঈদ বলেন, ইনজেকশনটি মাইনর অপারেশন যেমন, লাইকুমা, সিস্ট ও বিভিন্ন ধরনের কাটা আঘাত অপারেশন বা সেলাই করতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ২/৩টি কোম্পানির উৎপাদিত এই ইনজেকশন বাজারে পাওয়া যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনটি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ দুলাল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, আমাদের ৭৫০ বেডের এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জেসোকেইন ২% ইনজেকশনের ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পাচ্ছি না। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে বলে তিনি জানান। মির্জাপুর উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ হান্নান চৌধুরী বলেন, গত প্রায় ৪ মাস যাবত জেসোকেইন ইনজেকশনটি সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে একমাত্র কোম্পানি জেসন ফার্মাসিউটিক্যাল এই ইনজেকশনটি উৎপাদন করে আসছে। কিন্তু কোম্পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনজেকশনটি সাপ্লাই দিতে পারছে না। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৌশলে ইনজেকশনটি বাজার থেকে কিনে সঙ্কট সৃষ্টি করে ১০-১৫ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×