ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বুলেটে আঁকা পুতিনের চেহারা

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৪ আগস্ট ২০১৫

ঝলক

রুশ-পশ্চিমা দ্বৈরথের দাবার ঘুঁটি ইউক্রেন। ক্রিমিয়া রুশ কব্জায়। সেখানে রুশপন্থীদের রণসাজ। অন্যদিকে, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইউক্রেনবাসীরও। দুই শিবির মুখোমুখী। যুদ্ধবিরতি চললেও যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান। শান্তিতে নেই ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। যুদ্ধ কারও-ই কাম্য নয়। সকল সচেতন মহল থেকে উচ্চারিত হয় প্রতিবাদ। প্রতিবাদের রয়েছে নানা ধরন। যুদ্ধের বিপক্ষে রাজপথে মিছিল হয়। সভা-সেমিনার হয়। প্রতিবাদ জানানো হয় মানববন্ধন করেও। বুদ্ধিজীবী তার লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় নিরব-নিশ্চুপ থাকেন না শিল্পীরাও। সচেতন শিল্পীর তুলিতে বাক্সময় হয় প্রতিবাদের ভাষা। এমনই এক শিল্পী ইক্রেনের দারিয়া মারচেনকো। বয়স তেত্রিশ। পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার। তিনি এই যুদ্ধাবস্থার বিপক্ষে। এক্ষেত্রে, তিনি শিল্পসত্তাকেই করেছেন প্রতিবাদের হাতিয়ার। ইউক্রেনের এই শিল্পী এঁকেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মুখাবয়ব। এটি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন বুলেট! বুলেটের তৈরি পুতিনের মুখের মাধ্যমেই ফুটিয়ে তুলেছেন তার যুদ্ধং দেহি মনোভাব, যা বিশ্ব মিডিয়ার কল্যাণে সাড়া ফেলেছে প্রায় সারাবিশ্বে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা পাঁচ হাজার বুলেট দিয়েই তৈরি করেছেন পুতিনের মুখচ্ছবি। বিভিন্ন আলোকের সাহায্যে পুতিনের মুখের নানা অভিব্যক্তিও ফুটিয়ে তুলেছেন দারিয়া মারচেনকো। নিজের এ সৃষ্টির নাম দিয়েছেন ‘যুদ্ধের মুখ’। তার শিল্পে পুতিনের যে চেহারাটা ধরা পড়েছে তা এক যুদ্ধং দেহি রাষ্ট্রনায়কের মুখ। তাই তার ‘যুদ্ধের মুখ’ হয়ে ওঠে শিল্পীর প্রতিবাদের ভাষা। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। মশার কামড়ে দৃষ্টিহীন দৃষ্টিহীন হয়ে জন্মায় কেউ কেউ। জটিল রোগ কিংবা দুর্ঘটনায়ও কারও কারও দৃষ্টিশক্তি হারায়। পুষ্টির অভাবে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয় কারওবা। বার্ধক্যজনিত কারণেও হ্রাস পায়। এমন পরিস্থিতির ভুক্তভোগীরা বঞ্চিত হয় পৃথিবী দেখা থেকে। এবার শোনা গেল মশার কামড়ে দৃষ্টিহীন হওয়ার কথা। যুক্তরাজ্যের এক বৃদ্ধার ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটল। বেড়াতে গিয়ে মশার কামড় খেয়ে চিকুনশুনিয়া রোগে আক্রান্ত হন ঊনষাট বছর বয়সী প্রবীণ মহিলা। এরই জেরে তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেন তিনি। ডাক্তারি পরিভাষায় এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। গত বছরের জুলাইয়ে অবকাশ যাপনের জন্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের গ্রানাডায় গিয়েছিলেন ওই যুক্তরাজ্যনিবাসী। সেখানেই মশার কামড় খাওয়ার পর তার মধ্যে ফ্রু ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। জ্বর, সর্দি, শরীর ব্যথা সেই থেকে তাকে পেয়ে বসে। আগস্টে বাড়ি ফেরার পরও সুস্থ হননি তিনি। সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়। ডান চোখের দৃষ্টিশক্তিও হ্রাস পাওয়া শুরু হয়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় চিকুনশুনিয়া রোগের সংক্রামণ ধরে পড়ে। চিকিৎসায় তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যা কিছুটা কমলেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি তিনি। অবশ্য, অন্য কোন কারণে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন কিনা তা এখন নিশ্চিত নন ডাক্তাররা। চিকিৎসকের বক্তব্য, চিকুনশুনিয়া সংক্রামণে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভবনা রয়েছে, তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন ঘটনা নিতান্তই বিরল। স্থানীয় ডাক্তারের ভাষ্যে, মশার কামড়ে কারও ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে, এই ঘটনা যুক্তরাজ্যে এই প্রথম ঘটল। গোল্ড বাবা ন্যাংটা বাবা, মাটি বাবা, পাথর বাবা, ছড়ি বাবা, জটাধারী বাবাসহ কত শত বাবা যে এ ভবে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। বাবাময় এ পৃথিবী সেই আদি অন্তকাল থেকেই। এদের ভেকের কাছে নস্যি তাবৎ বিশ্বমানব। এত এত বাবার ভিড়ে গোল্ড বাবা তথা সোনা বাবা সত্যিই বিস্ময়কর। এমনিতেই বেশিরভাগ বাবার ভেকই দিগম্বর হওয়া, আর এ বাবা সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি আপাদমস্তক সোনায় মোড়া। পুরো শরীরে যে সোনার অলঙ্কার পরে আছেন, তা ভরিতে মাপলে হিমশিমই খেতে হবে। মাপতে হবে কেজিতে। পুরো এগার কেজি সোনার অলঙ্কার পরে থাকেন এই গোল্ড বাবা। গলায় সোনার চেইন, হাতের আংটি, বাজুবন্ধ, মনিবন্ধ পরে পুরো দেহকেই মুড়িয়েছেন সোনায়। তার ভক্তকুলের সংখ্যা এ কারণেই হয়তো অন্য বাবাদের থেকে একটু বেশি। মুজাফফরনগরের রাস্তায় এ গোল্ড বাবাকে দেখতে তাই ভিড় জমে যায়। বিশ্বের শীর্ষ ধনীরাও যেন বাবার ঠাঁটের কাছে বালাই ষাট। বাবা থাকেন ২৫ জন দেহরক্ষী দ্বারা সুরক্ষিত। শুধু তাই নয়, বাবার চলার পথে থাকে হাফ ডজনের মতো গাড়িবহর ও অ্যাম্বুলেন্স। গরিব ছাত্রদের নাম কামাতে বিলাসযান স্কুল জীবন শেষ। সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। যেনতেনভাবে যোগ দিলে তো হবে না, গরীব হলেও। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে, জাকজমকপূর্ণ পোশাক না পরলে যেন ইজ্জতই থাকে না। এজন্য পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটের মতো দারিদ্রপীড়িত এলাকার শিক্ষার্থীরা ধার -দেনা করে হলেও দামি গাড়ি ভাড়া করে যোগ দিয়েছে স্কুলের ন্যাশনাল রেকর্ড অফ এ্যাচিভমেন্ট অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে এ পাড়ায় দেখা গেছে ল্যাম্বরঘিনি, ফেরারি ও বেন্টলির মতো দামি দামি গাড়ি যেগুলো ওই পাড়ার বাড়িগুলোর চেয়েও বেশি দামি। এ পাড়াটি বাংলাদেশী পাড়া নামে খ্যাত। এখানকার শিক্ষার্থীদের কাছে ঈদের পর স্কুল সমাপ্তির অনুষ্ঠানই জীবনের সবচেয়ে আর্কষণীয় উৎসব। গরীব এসব শিক্ষার্থীদের কাছে এই অনুষ্ঠানে পদক ও সনদপত্র গ্রহণ ছাড়াও দামি পোশাক পরে ছবির পোজ দেয়া আর ঝাঁ চকচকে গাড়িতে সারা শহর প্রদক্ষিণ করার মজাই যেন আলাদা।
×