ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াই দু’দলের

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ ভারত

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৩ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ  আজ ভারত

রুমেল খান ॥ সিলেটে চলমান ‘সাফ অনুর্ধ ১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ আজ টুর্নামেন্টের পঞ্চম ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। উভয়দলই ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নাম লেখানো। ফলে আজকের ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই হতে যাচ্ছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বৈরথ। এক্ষেত্রে অবশ্য খানিকটা সুবিধাজনকভাবে এগিয়ে আছে ভারতই। কেননা তারা নিজেদের প্রথম খেলায় শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৫-০ গোলে। আর বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে। তাই গোল গড়ে স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে সফরকারী দলই। আজকের ম্যাচে ভারত যদি ড্র করে, তাহলে তারাই হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। গ্রুপ সেরা হতে হলে সেক্ষেত্রে জয়ের কোন বিকল্প নেই ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ দলের কিশোর ফুটবলারের। আজকের ম্যাচটি অবশ্য বাংলাদেশের জন্য প্রতিশোধেরও বটে। কেননা ২০১৩ সালের এই আসরে বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারত হারিয়েছিল ২-০ গোলে। বাংলাদেশের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের অধিকাংশরই পরীক্ষা ছিল। তাই বিশদিন আগে অনুশীলন শুরু করেছি। যদিও শতভাগ প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও সব মিলিয়ে প্রস্তুতি মন্দ হয়নি। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালভাবেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছি। বৃহস্পতিবার ম্যাচেও আমরা জয়ের লক্ষ্যেই খেলব। তবে ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল। তাদের আমরা সমীহ করেই খেলব। দলের ছেলেদের মনোবল বেশ ভাল আছে। নিজেদের চেনা মাঠে ও পরিপূর্ণ দর্শক সমর্থন আশা করি তাদের ভাল খেলতে প্রেরণা যোগাবে।’ বাংলাদেশ অধিনায়ক শাওন হোসেন বলেন, ‘প্রস্তুতির জন্য আমরা সময় খুব কম পেয়েছি। তবে আমরা ভাল করার চেষ্টা করব। সবার দোয়া চাই। প্রথম ম্যাচ যে কোন দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে জিতে শুরুটা ভাল করেছি। এবার ভারতকে হারিয়ে হতে চাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।’ শুক্রবার টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে নেপাল। প্রথম রাউন্ড শেষে সরাসরি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট প্রথম সেমিফাইনাল এবং ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ আগস্ট। স্বাগতিক দল ছাড়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতি দলকে পার্টিশিপেশন মানি হিসেবে দেয়া হবে ৫ হাজার ডলার। আর স্বাগতিক বাংলাদেশ পাবে ৫০ হাজার ডলার। প্রথমে কক্সবাজার ও সিলেট ভেন্যুতে হওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাডলাইট না থাকার কারণে শুধু সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। যেহেতু কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের সুবিধা নেই, তাই সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মাঠ সংস্কার থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক সব কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হয়। বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবলের পর থেকে অলস পড়ে থাকা ড্রেসিং রুম, হসপিটালিটি বক্স, ভিআইপি বক্স, মিডিয়া বক্স, গ্যালারিসহ পুরো সিলেট জেলা স্টেডিয়াম যেন পায় নতুন প্রাণ। গ্যালারির টিকেট ৩০ ও ৫০ টাকা, ভিআইপি গ্যালারির টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ২০১১ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। সে আসরে ৬ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরেও স্বাগতিক ছিল নেপাল। সেবার সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। এখন দেখার বিষয়, এবারের আসরে কেমন ফল করে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।
×