ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণের পর কিশোরী বিক্রি

গাইবান্ধায় একজনের যাবজ্জীবন, ৩ জনের জেল

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ আগস্ট ২০১৫

গাইবান্ধায় একজনের যাবজ্জীবন, ৩ জনের জেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১২ আগস্ট॥ সাদুল্যাপুর উপজেলার দক্ষিণ চকদারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ১১ বছরের শিশুকন্যা মল্লিকাকে অপহরণ করে লালমনিরহাটের পতিতালয়ে বিক্রি এবং সেখান থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা চালানো হয়। এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার রায়ে মূল অপহরণকারীকে যাবজ্জীবন ও অপর তিন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। গাইবান্ধা স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-২ এর বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু বুধবার এই রায় প্রদান করেন। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে শিশু মল্লিকাকে আসামি আব্দুল মান্নান অন্য আসামিদের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সে প্রথমে লালমনিরহাট পতিতালয়ে সর্দারাণী পারভিন বেগমের কাছে বিক্রি করে। ওই পতিতালয় থেকে শিশুটিকে ভারতে পাচারের প্রচেষ্টা চালানো হয়। পাচারকালে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অপহরণকৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ পিতা-মাতার কাছে মেয়েটিকে ফেরত দেয়। এই মামলার রায়ে মূল আসামি আব্দুল মান্নানকে যাবজ্জীবন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। অন্য আসামি শহিদুল ইসলাম ও মোছাদেকুর রহমান ওরফে শফিককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং দু’জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। এছাড়া পারভীন বেগমকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
×