ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রবিউল হত্যার দায় স্বীকার প্রধান আসামি মিরাজের

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৩ আগস্ট ২০১৫

রবিউল হত্যার দায়  স্বীকার প্রধান আসামি  মিরাজের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা ও আমতলী, ১২ আগস্ট ॥ তালতলীর ছোট আমখোলা গ্রামের শিশু রবিউল হত্যাকা-ের প্রধান আসামি মিরাজ খান (২৫) আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। স্বীকারোক্তির ৭ দিন পরে বুধবার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত অফিসার বাবুল আখতার আসামি মিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। জানা গেছে, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজীর ঘেরের লখনার খালে মাছ চুরির অভিযোগে ছোট আমখোলা গ্রামের দুলাল মৃধার ১১ বছরের শিশুপুত্র রবিউলকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একমাত্র আসামি মিরাজকে গত ৬ আগস্ট আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামি মিরাজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন, ঘটনার রাতে রবিউলকে লাঠি ও টর্স লাইট দিয়ে পেটাতে থাকি। পিটুনি খেয়ে রবিউল পালিয়ে যাওয়ার সময় তালগাছের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এতে বাম চোখ ও কপালে আঘাত লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে রবিউল। মৃতভেবে পরে তাকে মাছের ঘেরের মধ্যে খালে ফেলে দেয়া হয়। এদিকে বুধবার আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন চলাকালে রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা কান্না জড়িতকণ্ঠে বলেন “মুই কোনদিন এমন সভায় কথা কই নাই, আইজ মোর পোয়া খুন অইছে তাই কথা কইতে আইছি”, মুই মোর পোলা হত্যার বিচার চাই”। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে মিরাজের বাড়িতে নিয়ে মিরাজ, তার বাবা দেলোয়ার খাঁন, ভাই আবদুল্লাহ, মা মিনারা ও স্থানীয় ৪/৫ জন প্রভাবশালী মিলে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আদালতে আসামি মিরাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ছিল পুলিশের সাজানো নাটক। পুলিশ মূল আসামিদের আড়াল করতে আদালতে জবানবন্দীর নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরও বলেন, জবানবন্দীতে যে তালগাছের কথা উল্লেখ রয়েছে ওই খানে কোন তালগাছ নেই। বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। ডাক্তারি প্রতিবেদন মতে নিঃসন্দেহে এটা হত্যাকা-।
×