স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টের জারি করা রুলের আদেশ আজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চ এ আদেশ দিবেন। মামলাটি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের ১ নম্বর বেঞ্চের কার্যতালিকার ১ নম্বরেই আদেশের জন্য রয়েছে।
বুধবার জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আমরা আদালত অবমাননার এই মামলায় কনটেস্ট করেছি। আদালতে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কোন রিপোর্ট প্রকাশ করলে তা আদালত অবমাননা হয় না। তিনি বলেন, আমি আশা করছি, আদেশে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন। এর আগে গত ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয় জনকণ্ঠে। নিবন্ধটি লেখেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়। ওই নিবন্ধে সাকা চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এর পর গত ২৯ জুলাই সাকা চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর পরই জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তাদের তলব করেন আদালত। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত।
আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী ৩ আগস্ট জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) এবং নিবন্ধের লেখক নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালতে উপস্থিত হন এবং এ মামলায় তারা কনটেস্ট করবেন জানিয়ে তিন মাসের সময় চান। পরে আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে গত রবিবার ও সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ।
রবিবার শুনানির শুরুতেই জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে বেঞ্চ পুনর্গঠনের আবেদন জানানো হয়। জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন আদালতে বলেন, যেহেতু অভিযোগ শুধু প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে, তাই উনি না থেকে বেঞ্চ পুনর্গঠন করার জন্য আবেদন করছি। শুনানি শেষে জনকণ্ঠের এই আবেদনটি খারিজ করে দেন আপীল বিভাগ। এর পর জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের পক্ষে দাখিল করা জবাব আদালতে তুলে ধরা শুরু করেন। এরপর আদালত বিরতিতে চলে যায়। বিরতি পর আদালত জানান, যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা তাই এ মামলার শুনানি হবে বৃহত্তর বেঞ্চে। এর পর সোমবার বৃহত্তর বেঞ্চে জনকণ্ঠের জবাবের ওপর শুনানি হয়। শুনানির এক পর্যায়ে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের পক্ষে দাখিল করা জবাব উপস্থাপন করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন। তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য এক বিচারপতি কথোপকথনের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন এবং এ সংক্রান্ত সিডিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ওই কথোপকথনে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতিকে সাকা চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল এক জন বিচারপতিকে বেঞ্চে না রাখতে। পরে ওই কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করেন প্রধান বিচারপতি। এর পর শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: