ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে ১২ গ্রামের মানুষের নদী পারাপার বাঁশের সাকোতে

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১২ আগস্ট ২০১৫

জয়পুরহাটে ১২ গ্রামের মানুষের নদী পারাপার বাঁশের সাকোতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১১ আগস্ট ॥ বাঁশের সাকো তৈরি করে স্থানীয়রা বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় দুর্ভোগ স্থায়ীরূপ নিয়েছে। ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। শিক্ষার্থীদের সীমাহীন কষ্টের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ভোট এলেই জন প্রতিনিধি হিসেবে যারা নির্বাচন করে তারা প্রতিশ্রুতি দেয় নির্বাচিত হলেই পাকা সেতু। কিন্তু নির্বাচনের পর ভুলে যায় তাদের প্রতিশ্রুতি। জেলার হারাবতী নদী পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ও আওলাই ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত। শুকানপুর ও শিরট্টি এলাকায় হারাবতী নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য ঐ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। কুসুম্বা ইউনিয়নের কুয়াতপুর, বাঁশখুর, শুকানপুকুর, গোবীন্দপুর, কাসরা ও তেলিহার এবং আওলাই ইউনিয়নের গোড়না, শিরট্টি, খাড়িয়াপাড়া, ভারাহুত, শান্তা এবং হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ কয়েক যুগ থেকে হারাবতী নদীর উপর সেতু না থাকায় চলাচলে সীমাহীন কষ্ট-দুর্ভোগের শিকার হয়ে চলেছে। হারাবতী নদীর সেতু নির্মাণের দাবি নিয়ে ১২ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে আবেদন নিবেদন, জনপ্রতিনিধি, নেতাদের বাড়িতে ঘুরেও কোন লাভ হয়নি। আওলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী জানান, হারাবতী নদীর শুকনপুকুর এলাকায় সেতু নির্মাণের বিষয় নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করব।
×