মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কোন ধরনের ভুলত্রুটি বা অসঙ্গতি থাকলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশোধনের অধিকার রাখে। প্রশ্ন উঠেছে এ ধরনের ভুলত্রুটি সংশোধনে অকৃতকার্য বা কম নাম্বার পাওয়া শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জ করার পর কেন সংশোধন করা হবে। শুধু তাই নয়, এ ধরনের ত্রুটি সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি ও আদায় করা হবে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে। অথচ ভুলত্রুটি ও পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বরের যোগফল হিসাব করায় ভুল করেছেন খাতা পরীক্ষক। কিন্তু মাসুল দিতে হবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে। বোর্ডের এ ধরনের নিয়মনীতি আদৌ পরিবর্তন হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অভিভাবক মহলে। অভিভাবকরা মন্তব্য করেছেন, ‘উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে’ তুলে দেয়ার অবস্থা বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। এ ফল অনুমোদনের জন্য বোর্ড কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকাশিত ফলে কোন ভুল ত্রুটি বা অসঙ্গতি থাকলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে। তবে সেক্ষেত্রে ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তা লিখিতভাবে নি¤œস্বাক্ষরকারী বরাবর আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে ফল প্রকাশের পর দিন অর্থাৎ ১০ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্টের মধ্যে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।