স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা : প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত কপোতাক্ষ খননের জন্য বরাদ্দ ২৬২ কোটি টাকার প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। নদীতে জোয়ার ভাটা চালু রাখা ও নাব্য বাঁচিয়ে রাখার জন্য জনগণ (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালু করার জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রাম করলেও কপোতাক্ষে টিআরএম চালুর মাত্র কয়েকদিন পর জনগণই খালের মুখে বাঁধ বেঁধে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। শনি ও রবিবার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এই করেছে। কপোতাক্ষ খনন প্রকল্পে টিআরএমের পেরিফেরিয়াল বাঁধ, আউটলেট গেট নির্মাণসহ সবকিছুই থাকলেও ঠিকাদার নক্সানুযায়ী সংযোগখাল খনন আর বাঁধ নির্মাণ না করায় বর্ষার পানিতে ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ফলে টিআরএম চালুর পর কপোতাক্ষের জোয়ারের পানি পার্শ¦বর্তী গ্রামে প্রবেশ করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নক্সা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণ না করে ঠিকাদার টাকা নিয়েছে। টিআরএম চালু থাকলে আপাতত এই বন্যার পানি নিষ্কাশনের কোন আশাই দেখছেন না জনগণ। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী এ কারণে বাধ্য হয়ে টিআরএম-এর খালের মুখ তারা ক্রস বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার টিআরএমভুক্ত খালের মুখ বেঁধে দেয়ার কথা স্বীকার করে রবিবার বিকালে বলেন, প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসী সাময়িকভাবে এই খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে দোহার, আটুলিয়া, শ্রীমন্তকাটি, বালিয়া, শুভঙ্করকাটি, তেঘরিয়াসহ আশপাশের প্রায় দুই হাজারের অধিক লোক মিলে বাঁধতে শুরু করে। তারা খালের মুখের বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করে।
কপোতাক্ষ খননে নক্সা অনুযায়ী কাজ হয়নি
সাতক্ষীরায় পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: