ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম এ্যাপারেল এক্সপোতে ৭ কোটি ডলারের স্পট অর্ডার

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১০ আগস্ট ২০১৫

চট্টগ্রাম এ্যাপারেল এক্সপোতে ৭  কোটি ডলারের স্পট অর্ডার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে আয়োজিত ৩ দিনের বাংলাদেশ এ্যাপারেল এ্যান্ড সেফটি এক্সপোতে প্রায় সাত কোটি ডলারের ‘স্পট’ অর্ডার এসেছে। রেডিমেড গার্মেন্টস মেশিনারি, সোয়েটার মেশিন, ফায়ার এ্যান্ড সেফটি ইক্যুইপমেন্ট এ্যান্ড এক্সেসরিজ থেকে আসে অর্ডারগুলো। এছাড়া অর্ডার পাওয়া গেছে ২০ লাখ পিস জ্যাকেট ও শার্টের। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে গত রবিবার শেষ হওয়া তিন দিনের প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাড়া মেলে। বিদেশী কূটনৈতিকরা ছাড়াও ক্রেতাদের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। প্রদর্শনীতে স্থান পায় তৈরি পোশাক, এক্সেসরিজ এবং পোশাক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেক্টরের স্টল। মোট ৭৩টি স্টলে সাজানো এ্যাপারেল এ্যান্ড সেফটি এক্সপো থেকে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে বলে জানান বিজিএমইএ নেতারা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পোশাক শিল্প বিশ্বের কাছে তার সক্ষমতার জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে করণীয় বিষয়ে তিন দিনের এ প্রদর্শনীতে অনুষ্ঠিত হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চারটি সেমিনার। এতে মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার আরও শক্তিশালী এবং নতুন বাজার অনুসন্ধানে আলোচনা হয়। এতে আরএমজি মেশিনারিজ স্পট অর্ডার এসেছে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সোয়েটার মেশিনে ১২ মিলিয়ন ডলার, ফায়ার এ্যান্ড সেফটি ইক্যুইপমেন্টসে ২২ মিলিয়ন ডলার এবং এক্সেসরিজে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার আসে। বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ এ্যাপারেল এ্যান্ড সেফটি এক্সপো প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রামে এটি একটি অভূতপূর্ব আয়োজন। এতে দেশী-বিদেশী ক্রেতা ও প্রতিনিধিদের বিপুল সাড়া মিলেছে। স্পট অর্ডারও এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকার নির্ধারিত ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করে তিনি চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গ্যাস, বিদ্যুতসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, বন্দর সুবিধা থাকায় চট্টগ্রামই হতে পারে পোশাক শিল্পের জন্য সবচেয়ে অনুকূল স্থান। কারণ এখান থেকে আমদানি পণ্য খালাস এবং রফতানি পণ্যের লিড টাইম ধরা অনেক সহজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও চট্টগ্রামে কোন পোশাক শিল্প পল্লী গড়ে ওঠেনি। তিনি বলেন, বিদেশীদের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইপিজেডে জায়গা দেয়া হয়েছে অথচ দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
×