ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১০ আগস্ট ২০১৫

পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছে পাসের দিক থেকেই। প্রতিটি বোর্ডেই পাসের হারে ছাত্রদের ছাড়িয়ে যায় ছাত্রীরা। এ বছর মোট ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। আর ছাত্রদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ০৪ শতাংশ হলেও ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ২৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্রীরাই এগিয়ে। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৩ হাজার ২৯৩ জন আর ছাত্রী ১৯ হাজার ৬০১ জন। পাসের হারের দিক থেকে মেয়েদের এগিয়ে থাকায় বিষয়টিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, আটটি বোর্ডের প্রতিটিতেই পাসের হারে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। আর সবচেয়ে ভাল করেছে রাজশাহী বোর্ডের মেয়েরা। বোর্ডটিতে মেয়েদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ৪৮ হাজার ৮১৭ ছাত্রীর মধ্যে ৩৮ হাজার ৮১৭ জন পরীক্ষায় পাস করেছে। অন্যদিকে, ছাত্রদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ৫৬ হাজার ৭৬৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ হাজার ৫১৩ জন পাস করেছে। ফল ঘেঁটে দেখা গেছে, সবচেয়ে খারাপ করেছে যশোর বোর্ডের ছেলেমেয়েরা। বোর্ডটিতে পাসের হার মাত্র ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৪৫ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে বোর্ডের মতো বোর্ডটিতে পাসের হারেও মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েদের পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৪০ শতাংশ আর ছাত্রীদের ৬৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৯ ছাত্রীর মধ্যে ৯২ হাজার ৮২৪ জন পাস করেছে। কুমিল্লা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্রীদের সংখ্যাও বেশি। এ বোর্ডে ৫১ হাজার ৪৮২ ছাত্রীর মধ্যে ৩১ হাজার ২৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬০ দশমিক ২৬। ছাত্রদের পাসের হার ৫৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ১১ শতাংশ। ৪১ হাজার ১৯০ ছাত্রীর মধ্যে ২৬ হাজার ৮১৮ জন পাস করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। বরিশাল বোর্ডেও ভাল করেছে মেয়েরা। ২৭ হাজার ৪৯৯ ছাত্রীর মধ্যে ২০ হাজার ১১৯ জন পাস করেছে। পাসের হার ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। সিলেট বোর্ডেও ছাত্রদের তুলনায় পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। যেখানে ২৬ হাজার ৬৫৭ ছাত্র অংশ নিয়েছে, সেখানে ছাত্রী অংশ নিয়েছে ৩১ হাজার ৪৫ জন। ২৩ হাজার ৩০৭ ছাত্রী পাস করেছে। পাসের হার ৭৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর দিনাজপুর বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৪২ হাজার ৪৬৮ ছাত্রীর মধ্যে ৩০ হাজার ৮৪৯ জন পাস করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অন্য বছরের তুলনায় এবারের ফল খারাপ হওয়ার পেছনে পরীক্ষা চলাকালের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বড় কারণ হিসেবে দায়ী করেন তিনি। রাজনৈতিক অস্থিরতাই অন্যতম কারণ না হলেও কোন অংশে এর দায় কম নয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং সৃজনশীল প্রশ্নে নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ফল ধসে এর প্রভাব থাকতে পারে বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। ফল খারাপ হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব। বিশ্লেষণ করব। তারপর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
×