ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোশাকের দাম বাড়ানোর আশ্বাস ইইউ’র

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ৯ আগস্ট ২০১৫

পোশাকের দাম বাড়ানোর আশ্বাস ইইউ’র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত ইইরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) পার্লামেন্ট সদস্য ড. সাজ্জাদ করিম। শনিবার দুপুরে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকাক সমিতি বাংলাদেশের (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ক্রেতারা সোস্যাল কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে অত্যন্ত সচেতন। তাদের জন্য তৈরি পোশাক সব নৈতিক মানদ- মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা এটা জানতে চায়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম অবশ্যই আরও বাড়ানো হবে।’ ড. সাজ্জাদ করিম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সব চেয়ে বড় ক্রেতা। ইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে তিনি এখানে এসেছেন। এই সম্পর্ককে আরও আন্তরিক, গভীর ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে সহযোগিতা করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিণত অর্থনীতির দেশ হতে এগিয়ে যাচ্ছে। ড. সাজ্জাদ করিম বলেন, বাংলাদেশে এটা তার প্রথম সফর হলেও বাংলাদেশ সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। তার দেশ যুক্তরাজ্যের অনেক নাগরিকের আদিনিবাস এই বাংলাদেশে। যারা সেখানে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নাগরিক বলে পরিচিত। এসব নাগরিকরা অনেক বেশি পরিশ্রমী বলেও জানান ইইউর এই পার্লামেন্ট সদস্য। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়দুন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত সুবিধা যে সব স্বল্পোন্নত দেশকে দেয়া হয়েছে; তার মধ্যে শুধু বাংলাদেশ দক্ষতা, পরিশ্রম ও পোশাক তৈরির নৈপুণ্য দিয়ে তা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০ মিলিয়নের একটা তহবিল গঠন করেছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইাসলাম বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে বিজিএমইএ। এ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কারখানা পরিদর্শন প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর রিমেডিয়েশন কাজ চলছে। তবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো রিমেডিয়েশনের জন্য আর্থিক চাপে আছে। এব্যাপারে এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের গঠন করা তহবিলের দ্রুত অর্থ ছাড়ের দাবি করেন তিনি। আতিকুল ইাসলাম বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ছে অন্যান্য ব্যয়ও। তাই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ‘র সহভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম ও রিয়াজ বিন মাহমুদ (সুমন) প্রমুখ।
×