ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশদের এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৯ আগস্ট ২০১৫

ইংলিশদের এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঐতিহ্যের এ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধার করল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট ব্রিজের চতুর্থ টেস্টে আড়াই দিনেরও কম সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় এ্যালিস্টার কুকের দল! প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে গুটিয়ে লজ্জায় ডোবা অসিরা কাল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৫৩ রানে। তার আগে ৯ উইকেটে ৩৯১ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে এক মৌসুম পর সেই ঘরের মাটিতেই ট্রফি পুনরুদ্ধার করল কুলীন ইংলিশরা। ২০০৯, ২০১০-১১ ও ২০১৩Ñ এ হ্যাটট্রিক সাফল্যের পর ২০১৩-১৪ মৌসুমে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হয়েছিল তারা। দুর্দান্ত প্রতিশোধের পথে এবার ফেবারিট না হয়েও এক ম্যাচ হাতে রেখে ট্রফি পুনরুদ্ধার করল ইংল্যান্ড! প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে মূলত প্রথম দিনের শুরুতেই জয়ের বিজ বুনেছিল ইংল্যান্ড। যেখানে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্টয়ার্ট ব্রড। মাত্র ৯.৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ৮ উইকেট তুলে নেন ইংলিশ গতি তারকা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ‘নায়ক’ বনে যান ব্রড। মিচেল জনসন ১৩ এবং অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ১০ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর কেউ দুই অঙ্কের দেখা পাননি! ১৮.৩ ওভারে এত অল্প আয়ুর লজ্জা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে খুব বেশি নয়। এরপরও প্রথম দিন শেষে ক্লার্ক বলেছিলেন, ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ তাদের রয়েছে। জবাবে ৮৫.২ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৯১ রানে ইংল্যান্ড ইনিংস ঘোষণা করলে কার্যত শেষ হয়ে যায় তার সেই আস্ফালন। অসি পেস-তোপের মুখেও দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন জো রুট-জনি বেয়ারস্টোরা। স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে পিটার নেভিলের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৭৬ বলের ১৯ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ১৩০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন রুট। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ তারকা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৪.১ ওভারে ১৭৩ রান যোগ করেন রুট-বেয়ারস্টে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান বেয়ারস্টোর। অসি পেস-তোপে এরপর খুব দ্রুত উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ২৯৭/৫Ñ থেকে সহসা ৩৩২/৮ এ পরিণত হয় কুক-বাহিনী। নবম উইকেট জুটিতে মঈন আলি (৩৮) ও স্টুয়ার্ট ব্রড (২৪) মূল্যাবন ৫৮ রান এনে দেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সফল পেসার স্টার্ক নেন ৬ উইকেট, জোস হ্যাজলউডের শিকার সংখ্যা ২। ৩৩১ রানে পিছিয়ে থাকার পর ইনিংস হার এড়াতে, বা লিড পেতে দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংই করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। দুই ওপেনার ক্রিস রজার্স ও ডেভিড ওয়ার্নার যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল কিছু একটা করে ছাড়বেন তারা! ২৪ ওভারে ওয়ানডে স্টাইলে ১১৩ রান যোগ করেন দুজনে! সেই আশায় হতাশার কালি লেপে দিতে এবার ঘাতক বেন স্টোকস। দুই ওপেনারকেই তুলে নেন তিনি। রজার্স ৫২ এবং ওয়ার্নার ফেরেন ৬৪ রানে। এরপরই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা তৃতীয় দিনে টেনে আনা এ্যাডাম ভোগস ৫১ ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। শনিবার সকালে ১০ ওভারের মধ্যে আর ১২ রান যোগ করতে ২৫৩Ñ এ অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে স্টোকস ৬ ও উড নেন ৩ উইকেট। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া পেস তারকা জেমস এ্যান্ডারসনের অনুপস্থিতিতে দলের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্টোকস। খুশি ম্যাচের নায়ক ব্রড আর সেনাপতি কুকও। ২০ আগস্ট কিংস্টন ওভালে শুরু আনুষ্ঠানিকতার পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।
×