ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ বাংলাদেশের ‘আদিবাসী’ সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৯ আগস্ট ২০১৫

একুশ শতক ॥ বাংলাদেশের ‘আদিবাসী’ সঙ্কট

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসমূহের প্রতি আমার নিজের দারুণ রকমের সহানুভূতি ও সমর্থন রয়েছে। যেহেতু তারা পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী, সেহেতু তাদের অধিকার ও অগ্রগতি এই রাষ্ট্রের প্রাধান্য তালিকায় থাকা উচিত। সে জন্যই নিজের ক্ষমতায় যা সম্ভব তার সবই আমি এদের জন্য করে যাচ্ছি। বহু বছর আগেই আমি স্বেচ্ছায় ও বিনাপারিশ্রমিকে চাকমাদের বর্ণমালাকে কম্পিউটারে প্রয়োগ করেছি। সন্তু লারমা নিজে আমার সেই সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন। দীপঙ্কর তালুকদারও ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। যদিও পরে আমি কম্পিউটারে চাকমা বর্ণের ব্যবহার নিয়ে হতাশ হয়েছি তবে আমি এখনও সুযোগ পেলে আমাদের উপজাতীয় সকল ভাষাকে আধুনিক যন্ত্রে ব্যবহার উপযোগী করতে সচেষ্ট থাকব। আমার শঙ্কা হলো, আমাদের উপজাতীয়রা নিজেরাই তাদের ভাষার প্রতি দরদী নন। নিজের বাড়িতে তারা হয়ত তাদের ভাষা ব্যবহার করেন। কিন্তু নিজের ভাষার লিপি তারা চেনেন না। আমি চাকমা বর্ণ চেনে এমন তরুণ খুঁজে পাইনি। আমার ধারণা, আমাদের উপজাতীয়রা ভাষার লিপি প্রশ্নে লাতিন হরফের আগ্রাসনের শিকার হয়ে পড়েছে। একদিন তারা নিজেদের হরফের বদলে লাতিন লিপি ব্যবহার করবে। অথচ প্রযুক্তিগতভাবে এখন তার প্রয়োজন নাই। যা হোক, আমাদের উপজাতীয়দের ভাষাসহ সকল নৃতাত্ত্বিক সম্পদ রক্ষা করা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি পবিত্র দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। এমনকি তাদের অন্তত প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া উচিত বলেও আমি মনে করি। সেই চেষ্টাও আমি করেছি। উপজাতীয় শিশুরা যাতে তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার রাঙ্গামাটি শাখার সহায়তায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সকল পাঠ্যপুস্তককে চাকমা, মারমা ও ম্রো ভাষায় সফটওয়্যারে রূপান্তর করেছি। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে এই জনগোষ্ঠীর ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, বিকাশ ও সংরক্ষণে বিশ্বাস করি। এদের জীবনধারাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সকলেরই উচিত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা। রাষ্ট্রের উচিত তাদের আমানতের মতো রক্ষা করা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এটি ধারণা করার কারণ ঘটছে যে, এই ক্ষুদ্র জাতিগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিষয়টি আপাতদৃষ্টে খুব নিরীহ মনে হলেও ছোট একটি শব্দের মধ্য দিয়ে আঙ্গুল ওঠছে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে। দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক নেতাও জেনে বা না জেনে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হচ্ছেন। যে শব্দটি নিয়ে এই অপকর্মের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে সেই শব্দটি ‘আদিবাসী’। ৯ আগস্ট সারা দুনিয়ায় ‘আদিবাসী’ দিবস পালিত হয়ে থাকে। আমাদের শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পত্রিকায় নিবন্ধ ও টেলিভিশনে টক শোর আয়োজন করে দিনটি বাংলাদেশে পালিত হয়। ২০১৪ সালে এর ব্যতিক্রম হয়নি। ১৫ সালেও হয়ত তাই হবে। তবে আদিবাসীদের কথা বলতে গিয়ে কেউ কেউ একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেন, যেটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আমরা কারও কারও মুখে শুনে আসছি যে, আদিবাসীদের জন্য প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের মতো আন্দোলন করা হবে। সন্তু লারমা এ কথা বলেছেন ২০১৪ সালে। বাঙালী বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ জোরেশোরে বলার চেষ্টা করছে যে, বাংলাদেশের যাদের আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি বা উপজাতি বা ছোট ছোট নৃগোষ্ঠী বলি তারা ‘আদিবাসী’। সংবিধানে তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য তারা দারুণভাবে নাখোশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বাণী উদ্ধৃত করে এটি দেখানো হচ্ছে যে, এই রাজনৈতিক শক্তিটি অতীতে এদের ‘আদিবাসী’ বলে চিহ্নিত করলেও, না সংশোধিত সংবিধানে, না তাদের এখনকার বক্তব্যে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করছেন। ক্ষোভটা তাদের ওখানেই। বিষয়টি এতদিন আমাদের দৃষ্টি তেমনভাবে আকর্ষণ করেনি। প্রকৃতার্থে ‘আদিবাসী’ শব্দটি নিয়ে আমরা তেমন সিরিয়াসলি চিন্তাও করিনি। বিশেষ করে কথায় কথায় আমরা আমাদের দেশের উপজাতি বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে ‘আদিবাসী’ বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধা করিনি। কিন্তু যখনই আমরা লক্ষ্য করলাম যে, সংবিধানে তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় তারা নাখোশ হয়েছে তখনই ‘আদিবাসী’ শব্দের অর্থ সন্ধান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সংজ্ঞা অনুসারে আদিবাসী হলো তারা- peoples in independent countries who are regarded as indigenous on account of their descent from populations which inhabited the country, or a geographical region to which the country belongs, at the time of conquest or coloni“ation or the establishment of present states boundaries and who, irrespective of their legal status, retain some or all of their own social, economic, cultural and political institutions. আমরা যদি এই ইংরেজী বাক্যটির বাংলা মর্মার্থ করি তবে এটি এমন দাঁড়াবেÑ আদিবাসী হলো তারা যারা দেশের ঔপনিবেশিকতা সৃষ্টির সময়ে দখলদারদের চাইতে গোষ্ঠীগত কারণে আলাদা ছিল। আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানরা সেই অর্থে আদিবাসী। কারণ, যখন আমেরিকায় উপনিবেশ স্থাপন করা হয় তখন রেড ইন্ডিয়ানরা কেবল স্বতন্ত্র ছিল না এখনও স্বতন্ত্র। শুধু তাই নয়, ওরা আগ্রাসনকারীদের চাইতে জীবনধারার দারুণভাবে পশ্চাদপদ। লক্ষ্যণীয় যে, দেশটিকে রেড ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। খুব সঙ্গত কারণেই তাদের আদিবাসীর সংজ্ঞায় ফেলা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা নিজেদের এই সংজ্ঞায় ফেলতে চাইছে তাদের অবস্থা কি রেড ইন্ডিয়ানদের মতো? প্রথমত বাংলাদেশের উপজাতিসমূহ কি আদিবাসী? বাস্তবতা হচ্ছে হিমালয়ের পাদদেশের নিচু, সমতল বা জলাভূমির এই অঞ্চলে বাঙালীরা বসবাস করে ৪ হাজার বছরেরও আগে থেকে। বিক্রমপুর, ওয়ারি বটেশ্বর বা সোনারগাঁও কিংবা মহাস্থানগড় থেকে প্রাপ্ত প্রমাণাদি এসব বিষয় নিশ্চিত করে। এখানকার উঁচু ভূমি বা পাহাড় অঞ্চলে হয়ত তারও আগে সামান্য সংখ্যক কোচ, হাজং, গারো ইত্যাদি জনগোষ্ঠীরও বসবাস ছিল। তবে এসব জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ বসবাস করত গারো পাহাড়ে, যে পাহাড়টি এখন ভারতের অংশ। গারো পাহাড় থেকে যেসব উপজাতি সমতল ভূমিতে নেমে আসে তাদের কেউ কেউ মধুপুর ও বরেন্দ্র অঞ্চলের বাংলাদেশ অংশে বা ময়মনসিংহের গারো পাহাড় অঞ্চলে বাস করে। তবে এই নিম্নভূমিটি, যার নাম বাংলাদেশ, তাতে বাঙালীরা বসবাস করার আগে কোচ-হাজং-গারো-সাঁওতালরা বসবাস শুরু করে তেমন কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। বরং বাঙালীরা বসবাস করার পরে এসব উপজাতিরা হয়ত সমতল ভূমিতে বসবাস করা শুরু করে থাকতে পারে। সমতল ভূমি বিবেচনায় এছাড়াও কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইন সম্প্রদায় রয়েছে। তারা তাদের জীবনাচারে প্রায় বাঙালীতে পরিণত হয়েছে। নিজের বাড়িতে নিজেদের ভাষায় কথা বলা ছাড়া এদের অন্য ক্ষেত্রে খুব একটা পশ্চাদপদতা নেই। ওদের মাঝে যারা দেশের প্রধান জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে তারা বাংলাও চমৎকারভাবে বলতে পারে। ছোট একটি দেশ হিসেবে এদের শিক্ষার, অর্থনীতির বা রাজনীতির সুযোগ দেশের প্রধান জনগোষ্ঠী বাঙালীদের চাইতে মোটেই কম নয়। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান উপজাতি চাকমাদের আদি বাসস্থান আরাকান। ত্রিপুরাদের আদি বসবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। সেই অর্থে ওরা কেউ বাংলাদেশের আদিবাসী নয়। এর মানে এসব জনগোষ্ঠীর আবাস দখল করে আমরা বাঙালীরা বাংলাদেশ গড়িনি। তবুও বাংলাদেশে ওরা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী। উপজাতিদের জন্য বাংলাদেশে শিক্ষা ও চাকরিতে নানা কোটা আছে। প্রধানত চাকমারা সেই কোটা ব্যাপকভাবে ব্যবহারও করে। ফলে তাদের সম্পর্কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী অভিধাটি মোটেই বিভ্রান্তিকর নয়। বরং এদের আইএলওর সংজ্ঞা অনুসারে আদিবাসী বলাটা কোনভাবেই সঠিক নয়। ২০১২ সালের ৯ আগস্ট ৭১ টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আইএলও কনভেনশন অনুসারে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার দিতে হবে। এর মানে তারা দাবি করতে পারবে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা স্বায়ত্তশাসন পেতে পারে। এমনকি যদি তারা মনে করে যে, তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে থাকবে না বা ভারতেও যোগ দেবে না তবে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে পারবে। যদি তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে থাকেও তবে তারা যে অঞ্চলে বাস করে সেই অঞ্চলের ভূমির মালিকানা রাষ্ট্রের হবে না। আমরা জানি যে, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের যে কোন অঞ্চলে ভূমির মালিক হতে পারব। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি পার্বত্য তিন জেলায় জমির মালিক হতে পারব না। ওখানে আমাকে জমি কিনতে দেয়া হবে না। অন্যদিকে একজন উপজাতি দেশের যে কোন স্থানে ভূমির মালিক হতে পারবে। এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার প্রতি বৈষম্য। আমি মনে করি, পাহাড়ে বা সমতলে যেসব ক্ষুদ্র জাতি আছে তাদের ভূমিসংক্রান্ত যেসব জটিলতা আছে সেটির মীমাংসা হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে যেসব ক্ষুদ্র জাতিগুলো জমির মালিকানা নিশ্চিত করেননি তাদের ভূমির মালিকানার বিষয়টি মীমাংসা করার পর পার্বত্য জেলাসমূহে বাঙালীদের জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়। এটি সংবিধান পরিপন্থী। আমি মনে করি যে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে নামে আদিবাসী বলাতে আমাদের তেমন আপত্তি করার বিষয় নাও হতে পারে। ক্ষুদ্র জাতি বা আদিবাসী হিসেবে ডাকাডাকি করাতে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু যদি এই প্রশ্নটি ওঠে যে, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা দিতে হবে, তবে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। যদি এই দাবি ওঠে যে, এদের জমির ওপর রাষ্ট্রের মালিকানা থাকবে না, তবে সেটিও হবে রাষ্ট্রের অধিকারের বিরোধিতা। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে সকল নাগরিকের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের নাগরিকদের মাঝে কোন ধরনের বৈষম্য যাতে না থাকে সেটিও দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে পারে। কিন্তু এজন্য কোন জনগোষ্ঠীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না কিংবা কোন জনগোষ্ঠীকে এমন কোন সুযোগ দিতে পারে না, যা রাষ্ট্রের অন্য জনগোষ্ঠী পায় না। সকল নাগরিকের সমানাধিকার নিশ্চিত করাটাই রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব। এক দেশে দুই আইন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আবার পশ্চাদপদ জাতি বলে তাদের নিজেদের সম্পদ রক্ষার অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা যায় না। আমি ধারণা করি যে, আমাদের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর সাধারণ মনোভাব হলো বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠী বাঙালীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে বসবাস করা। তবে তারা অবশ্যই চাইবেন যে, তাদের ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা অক্ষুণœ থাকবে। তাদের পিছিয়ে পড়ার জন্য রাষ্ট্র তাদের বিশেষ সুবিধা যেমন কোটা বা অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু আদিবাসী নামে আখ্যায়িত হয়ে তারা নিশ্চয়ই একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের দাবি জানাতে চায় না। আমরা কামনা করব, দেশের সাধারণ নাগরিকদের আদিবাসী শব্দের বেড়াজালে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকা হবে। আমি এটাও আশা করি যে, কেউ এদের জিম্মি করে তথাকথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করবে না। আমি তাদের সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী বলতেও রাজি; কিন্তু তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের আন্দোলন হলে সেটি কঠোরভাবে দমন করার পক্ষে- কারণ কোন রাষ্ট্রই রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে মেনে নিতে পারে না। ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected] ওয়েবপেজ: www.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×