ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা হলে হত্যাকাণ্ড ॥ আসামির আজীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৯ আগস্ট ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা হলে হত্যাকাণ্ড ॥ আসামির আজীবন কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে সিনেমা হলে নির্বিচার গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি জেমস হোমসকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কলোরাডোর অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ডের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ২৭ বছর বয়সী হোমসকে এই দণ্ডে দণ্ডিত করে। কারাবাসের পুরো সময়ে আসামি হোমসকে জামিনে মুক্তি দেয়া যাবে না বলে রায়ে উল্লেখ করেছে আদালত। খবর ওয়েবসাইটের। ২০১২ সালের ২০ জুলাই মধ্যরাতে ডেনভার শহরের একটি মাল্টিপ্লেক্স হলে হলিউডের ব্যাটমান ছবিটি চলাকালে হোমস আধাস্বয়ংক্রিয় রাইফেল, শটগান ও পিস্তল নিয়ে প্রবেশ করে নির্বিচার গুলি চালান। এতে ১২ দর্শক নিহত ও আরও ৭০ জন আহত হন। এই অপরাধে হোমসের বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর গেল মাসে হোমসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একদিনেরও কম সময় নিয়ে আলোচনার পর অনেক আইন বিশেষজ্ঞ ও জনাকীর্ণ আদালতে উপস্থিতদের হতবাক করে আসামির আজীবন কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারকরা। রায়ে উল্লেখ করা হয়, হোমসকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিষয়ে বিচারকরা সর্বসম্মতভাবে একমত হতে পারেননি। রায় দেয়ার সময় আদালতে উপস্থিত নিউরো সায়েন্সের সাবেক শিক্ষার্থী হোমসকে নির্বিকার দেখা যায়। রায় ঘোষণার পরও কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি তিনি। পকেটে হাত ঢুকিয়ে সোজা সামনের দিকে নির্বিকার তাকিয়ে থাকেন। ১২ জন বিচারকের মধ্যে নয়জন মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ছিলেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিচারক প্যানেলের এক সদস্য পরবর্তী সময়ে জানিয়েছেন। বিচারকদের একজন মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে ছিলেন ও অপর দু’জন আজীবন কারাদণ্ডের পক্ষে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ডেনভারের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জোরদার হয়েছিল। এছাড়া মানসিক অসুস্থতা, জনসমাগমস্থলের নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়ে দেশটিজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এসব কারণে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা মামলাটি আলোচিত ছিল। কিন্তু একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢলে হিমশিম খাচ্ছে গ্রীস সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বিশ্বের অন্যান্য যুদ্ধাঞ্চল থেকে আসা শরণার্থীর ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রীস। সাহায্যের জন্য ইউরোপের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রীক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপরাস। ঋণ জর্জরিত গ্রীস একা এ সঙ্কট সামাল দিতে পারছে না বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি। গ্রীক দ্বীপ কোস, হিয়োস এবং লিসবোস-এ শরণার্থী সঙ্কটে ‘পুরোপুরি বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংগঠকরা বলছেন, কেবল জুলাই মাসেই গ্রীসে পৌঁছেছে প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসী। অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে ঋণদাতাদের সঙ্গে গ্রীক সরকারের নতুন ঋণচুক্তি নিয়ে আলোচনা এবং দেশটির নাগরিকদের কঠোর ব্যয়সঙ্কোচনের মধ্যে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার মধ্যে শরণার্থীর এ ঢল বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন অসংখ্য শরণার্থী এসে ভিড় করায় গ্রীসে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে মানবিক সঙ্কট। ফলে নিরুপায় হয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তা চেয়েছে গ্রীস। ইইউ গ্রীসের অর্থনৈতিক দিকটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কিন্তু মানবিক দিকটিতে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে এমনটিই আশা করেন বলে জানিয়েছেন গ্রীক প্রধানমন্ত্রী সিপরাস। ইউএনএইচসিআর গ্রীসকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপগুলোতে অভিবাসী সঙ্কট সামাল দেয়ার আহ্বান জানানোর পর সিপরাস ইইউর কাছে এ সহায়তা চাইলেন। ইউরোপে ইউএনএইচসিআর এর পরিচালক ভিনসেন্ট কোসেয়ল বলেছেন, প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার শরণার্থী এ বছর সমুদ্রপথে গ্রীসে পৌঁছেছে। এদের অনেকেই এসেছে তুরস্ক হয়ে। অসহনীয় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে তারা। -ওয়েবসাইট
×