ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাবুল সুরক্ষিত রাখার সরকারী দাবি বড় ধরনের ধাক্কা খেল

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ৯ আগস্ট ২০১৫

কাবুল সুরক্ষিত রাখার সরকারী দাবি বড় ধরনের ধাক্কা খেল

শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলায় সরকার তালেবানের নতুন বিদ্রোহী নেতাদের ঔদ্ধত্য চ্যালেঞ্জের মুখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রধানত সরকারী ও বিদেশী সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো ওইসব হামলায় অন্তত ৪০ জন আফগান নিহত ও শতাধিক লোক আহত হয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। তালেবান নেতাদের শান্তি আলোচনা বাতিল এবং পাশ্চাত্য সমর্থিত আশরাফ গণির সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করার কয়েকদিন পর একটি আফগান সামরিক ঘাঁটির কাছে বড় ধরনের ট্রাক বোমা হামলা, জাতীয় পুলিশ একাডেমিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং একটি ন্যাটো সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটল। তালেবানের একজন মুখপাত্র শুধু পুলিশ একাডেমিতে বোমা হামলা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত একজন জঙ্গী হেঁটে স্থাপনাটির ফটকের কাছে গিয়ে শত শত রিক্রুটের ফিরে আসার সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ২৫ জন নিহত ও বহুসংখ্যক আহত হয়। পুলিশ একথা জানায়। তবে, কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ধারণা ২৪ ঘণ্টাব্যাপী পুরো ঝটিকা সন্ত্রাসী হামলার পিছনেই সম্ভবত ইসলামী বিদ্রোহীরা জড়িত। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় একটি আফগান সামরিক স্থাপনার কাছে একটি ঘনবসতি এলাকায় ট্রাক বোমা হামলা দিয়ে ঘটনার শুরু। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারায়। অসমর্থিত খবর অনুযায়ী একটি মার্কিন বিশেষ অপারেশন্স কম্পাউন্ডের কাছে শেষ রাত্রির মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সিরিজ হামলার অবসান ঘটে। এ সপ্তাহে জার্মানি থেকে চিকিৎসা শেষে প্রত্যাবর্তনকারী গণি দ্রুত নতুন তালেবান হুমকির শক্ত জবাব দানের অঙ্গীকার করেন। তিনি ট্রাক বোমা হামলায় ভেঙ্গে পড়া ভবনাদির এলাকা পরিদর্শন করেন, হাসপাতালে আহত পুলিশ রিক্রুটদের দেখতে যান এবং মন্ত্রিসভার একটি জরুরী বৈঠকে যোগ দেন। এক বিবৃতিতে গণি ব্যাপক সংখ্যক বেসামরিক লোকের নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘আমরা এখনও শান্তির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু আমরা জোরালোভাবে ও শক্তি দিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেব।’ গণি আভাস দেন যে, তালেবান নেতৃবৃন্দ ও উপদলগুলোর রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোন্দল থেকে দৃষ্টি সরানোই এসব হামলার উদ্দেশ্য। গত সপ্তাহে তাদের গা-ঢাকা দেয়া প্রতিষ্ঠাতা ও ধর্মীয় নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণার পর এই কোন্দল শুরু হয়। তবে ‘ইস্পতি বলয়’ নামে আখ্যায়িত আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা পুলিশের সার্বক্ষণিক টহলের এক কর্মসূচীর আওতার মধ্যে রাজধানীতে এই উপর্যুপরি আগ্রাসী হামলা সরকারের এই দাবির প্রতি বড় ধরনের ধাক্কা যে, বেশ কয়েকটি গ্রামীণ অঞ্চলে তালেবানের গ্রীষ্মকালীন হামলার মধ্যেও তারা কাবুলকে সুরক্ষা দিতে পারবে।
×