স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শেষ ভরসাস্থল হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য সংখ্যালঘুদের দায়দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতিবিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল করেছেন মন্ত্রী, এমপি ও সংসদের হুইপ’ মর্মে বৃহস্পতিবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের এমন অভিযোগকে ‘গুরুতর’ দাবি করে তিনি আরও বলেন, রক্ষকই ভক্ষক হলে তার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না। এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করবে। এর বিচার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ কিভাবে হয় তা বুঝতে হবে। কেননা, দীর্ঘদিনের চিন্তা ও আচরণের মধ্য দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা তৈরি হয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুহত্যা সম্পর্কে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, কী বীভৎস উপায়ে ও বিকৃত চিন্তায় শিশুহত্যা হচ্ছে! শিশুহত্যা হতে পারে কিন্তু বিকৃত চিন্তায় শিশুহত্যা হবে কেন? এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। সিলেটে রাজন হত্যার পর আসামি পালিয়ে সৌদি আরবে যায়। আর পুলিশ নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। পরে সৌদি আরবে আমাদের যুবকরা তাকে ধরে পুলিশে দিল। শুনলাম দু’একদিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের আসামি নূর হোসেন পালিয়ে গেল। আজ পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি সরকার।
‘অরাজনৈতিক-অগণতান্ত্রিক শক্তি রুখতে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে’
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তা জীবনে চলার পথে কাজে লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়ক হতে পারে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ। দেশে যখনই অরাজনৈতিক শক্তি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে তখনই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতেও, যেকোন ধরনের অরাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক শক্তিকে রুখে দিতে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।