ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইজিসিসিতে আব্দুল আলীম স্মরণে সঙ্গীতসন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৮ আগস্ট ২০১৫

আইজিসিসিতে আব্দুল আলীম স্মরণে সঙ্গীতসন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। ধীরে ধীরে দর্শক-শ্রোতার ভিড়ে গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিপূর্ণ। শ্রোতাদের বেশিরভাগ মধ্য বয়সী। উপমহাদেশের প্রখ্যাত লোকগানের শিল্পী আব্দুল আলীমের গানের আবেদন যে এখনও ফুরায়নি তার প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার। জনপ্রিয় গানের ফাঁকে ফাঁকে হাত উঁচিয়ে প্রাণের আবেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক শ্রোতাকে। প্রখ্যাত এই শিল্পীর ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ এ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আ্ব্দুল আলীমের সুযোগ্য কন্যা নুরজাহান আলীম টুনি ও লোকশিল্পী সাজেদ ফাতেমী। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পী নুরজাহান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তাঁর বাবা আব্দুল আলীমকে। তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই ছিল আমার বাবার ৮৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষেই আজকের এই আয়োজন। আমি বাবার গান দিয়েই আজকে তাঁকে স্মরণ করছি। এছাড়া শোকের মাস হিসেবে তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তাঁকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা কোন দূরে যাও চইলা’ গানটি দিয়েই নুরজাহান তাঁর প্রথম পরিবেশনা শুরু করেন। পরের পরিবেশনাটি ছিল সাজেদ ফাতেমীর। তিনি পরিবেশন করেন ‘মাঝি বাইয়া যাওরে’ গানটি। গানের ফাঁকে ফাঁকে নুরজাহান তাঁর বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, বাবাকে নিয়ে আমার কোন স্মৃতি নেই। কারণ, আমার অনেক ছোট বয়সেই বাবা মারা যান। আমি মায়ের কাছে বাবার অনেক গল্প শুনেছি। তার কিছু কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তার পরের পরিবেশনায় ছিল সে সময়ের জনপ্রিয় গান ‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না’। গানটি পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক সারি থেকে হাত উঁচিয়ে শিল্পীকে বাহবা জানানো হয়। বার্মার কোন অনুষ্ঠানে আব্দুল আলীম যে গানটি পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কাকতালীয়ভাবে বৃষ্টি নেমে ছিল সে গল্পের অবতারণা করে শিল্পী সাজেদ পরিবেশন করেন ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’ গানটি। শিল্পী নুরজাহান আলীমের পরিবেশনায় আরও ছিল ‘বহু দিনের পিরিতি রে বন্ধু’, ‘নিরিখ বান্ধোরে’, ‘তোমারো লাগিয়ারে’, ‘নাও ছাড়িয়া দে’, ‘কেহই করে বেচাকেনা’, ‘এই যে দুনিয়া’ গানগুলো। সাজেদ ফাতেমীর পরিবেশনায় ছিল ‘দোল দোল দোলনী’, ‘থাকতে পারঘাটাতে’, ‘লঙ্গড় ছাড়িয়া নাওয়ের’ গানগুলো। এছাড়া তাদের দ্বৈত পরিবেশনায় ছিল ‘বাবু সেলাম বারে বার’ ও ‘সব সখিরে পার করিতে’ গান দুটি। অনুষ্ঠানে শিল্পীদের সঙ্গে কি বোর্ডে রাজীব আহমেদ, একুইস্টিক গিটারে সায়েদুর রহমান, বাঁশীতে সায়েদ হাসান, অক্টোপ্যাডে বিদ্যুৎ রায়, তবলায় অনির্বাণ সরকার ও দোতরায় ছিল মোকাদ্দেস আলী।
×