ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৭ আগস্ট ২০১৫

উবাচ

রিপনেরও জন্মদিন দুইটা স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধু বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াই নন তার দলের নেতাকর্মীদের এক, দুই এমনকি তিনটি করেও জন্মদিন থাকলে কোন সমস্যা নেই। বিএনপির সাম্প্রতিক মুখপাত্র আসাদুজ্জামান খান রিপন বলেছেন, বেগম জিয়ার জন্মদিন একাধিক এটা কোন বিষয় না, তার নিজেরও দুইটা জন্মদিন আছে। এর মধ্যে একটা অরিজিনাল, আরেকটা ভুয়া। জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন পালন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন দুইবার কেন তিনবারও জন্মদিন হয়। আমারও দুইটা, একটা আমার সার্টিফিকেটের, আরেক রিয়েলটা। আমার জন্ম তারিখ ১৮ এপ্রিল। কিন্তু আমার সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ মে মাসের ৪ তারিখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ দিনটি সব বাংলাদেশীর কাছেই শোকাবহ হওয়ার কথা। কিন্তু খালেদা জিয়া এই দিনটিতে নিজের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে এক ধরনের উৎসবের জন্ম দিয়েছেন। তাও আবার ৯০ পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নয়া এই জন্মদিন পালনের রেওয়াজ চালু করেন তিনি। কিন্তু এই দিনটি ছাড়াও খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট এবং স্কুলের সনদে অন্য জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। সঙ্গত কারণে বেগম জিয়াকে নির্মম এই হত্যাকা-ের দিনে উৎসব না করার আহ্বান আসে প্রতি বছরই। কিন্তু তিনি বরাবরই কানে তোলেন না। এবারও হয়ত তুলবেন না। আর এখন তো তার দলের নয়া এই মুখপত্র বলছেনই জন্মদিনের সংখ্যা একাধিক হতে পারে। তার নিজেরও দুইটা আছে। এর অর্থ কী তিনিও নিজেও বিশ্বাস করেন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন রয়েছে! তাহলে অন্যদিনগুলো কেন পালন করা হয় না এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। বাঘেরাও বেড়াতে যায়! স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধু মানুষই নয় বাঘেরাও বেড়াতে যায়। আর বিষয়টি দেশের মন্ত্রীদেরও নজর এড়ায় না। বাঘ দিবসের মূল আলোচনা অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বাংলাদেশের বাঘের ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বেড়াতে যাওয়ার খবর দিয়েছেন। এক দল গবেষক সুন্দরবনের বাঘ গুনে এসে এবার বলছে বাঘ আগের তুলনায় একেবারে কমে গেছে। বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তবর্তী সুন্দরবনের বাঘগুলো ওপারেই থাকতে বেশি পছন্দ করছে। কোন কোনটি নাকি গিয়ে আর ফিরছে না। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকে বেশি পছন্দ করায় বাংলা বাঘের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন গবেষকরা। বিশেষত বাংলাদেশীরা বাঘকে যেভাবে সম্মান দিয়ে থাকে ভারতে বাঘেরা তা একেবারেই পাবে না। জাতীয় পশুর তকমা দেয়া হয়েছে তাদের। আবার দেশের ক্রিকেট টিমের প্রতীকও সেই বাঘ। সাহসী বাঙালীর নামের আগে বসানো হয় শের এ বাংলা। বাঘেরা আর কি চায়? তারপরও কেন তাদের দেশ ত্যাগ। যদি বাঘ না থাকে তাহলে জাতীয় পশু কে হবে? ক্রিকেটের প্রতীক কী হবে। সাহসী বাঙালীর নামের আগে শের এ বাংলা বসানো যাবে না। এ সব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এ নিয়ে সুন্দরবন থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। কি হবে কি হবে সবখানে একই আলোচনা। তবে গেল সপ্তাহে মন্ত্রী শান্ত হওয়ার মতো খবর দিয়েছে। তিনি বলছেন, সুন্দরবনের বাঘ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ থেকে বাঘ ভারতের দিকে চলে যাচ্ছে বলে অনেকে হইচই করেন। বাঘ ওপারে বেড়াতে গেছে আবার চলে আসবে।’ বাঘ বিলুপ্তির শঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যত বাঘ বনে আছে, তার চেয়ে বেশি আছে খাঁচায়। সুতরাং বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাবে না। বাঘ রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। তারা বাঘ সংরক্ষণকে উৎসাহিত করে। কিন্তু যখনই বাঘ কমে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়, তখনই দায়ী করা হয় সরকারকে। যারা ‘রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন’ তাদের কেউ ‘কিছু বলে না।’ রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজসেবায় নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ সত্যি কথা অনেক সময় সহজ করে বলাটা কঠিন। বিশেষত তা নিজের অনুসারীদের বিপক্ষে গেলেত একেবারেই কেউ আর তা মুখেই আনে না। তাদের যে কোন অপরাধই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়। কিন্তু গেল সপ্তাহে তেমনই একটি সত্য কথা বলে দিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বললেন এখন আর রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জনসেবামূলক কাজে দেখা যায় না। কথাটি বলার সময় আক্ষেপের সুরও ছিল জাসদ সভাপতির কণ্ঠে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক কর্মীরা এখন নেতাদের তল্পি বহন করেন, দলকে ব্যবহার করে ধাপে ধাপে নিজেদের ভাগ্য বদল করেন। সমাজসেবায় তারা নেই। প্রবীণ হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত লটারির টিকেট বিক্রির উদ্বোধন করে এর প্রচার কাজে সহায়তা করতে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা বলেন ইনু। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এই অনুষ্ঠান হয়। ইনু বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় ক্ষমতাসীন দল সমাজসেবা ও জনসচেতনতামূলক প্রচার চালায়। আল্লাহর ওয়াস্তে দলবাজি, ক্ষমতাবাজি বাদ দিয়ে সমাজসেবায় মনযোগ দিন। তাহলেই ভাল রাজনীতিবিদ হবেন, দেশের উপকার হবে। বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদার গবর্নমেন্ট যুবাও বুঝত না, বৃদ্ধও বুঝত না। তারা তাদের পরিবারের বাইরে কিছুই বুঝত না। লটারি বিক্রি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম। বিএনপির আবিষ্কার বটে স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছরের শুরুটা হয়েছিল আগুন সন্ত্রাস দিয়ে। আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যে দিন থেকে বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারপর দেশে মাত্র একটি পেট্রোলবোমা ছোড়া হয়েছিল কুমিল্লায়। তাও স্থানীয় জামায়াতের কারসাজিতে হয়েছে। এ বিষয়টি প্রমাণ করে সারাদেশে আন্দোলন টিকিয়ে রাখতে বিএনপিই এই কাজ করছে। তখন বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের কথা স্বীকারও করেছে ভাড়াটে বোমারুরা। কিন্তু সেই বিএনপিই বলছে না না এসব আমি করিনি সব করেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব বলছেন, এ সব আমরা করিনি সব করেছে আওয়ামী লীগ। এটি প্রকাশ ও সম্পাদনা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মানবাধিকার সেল। সত্যিই মানবাধিকার সেল মানবাধিকার রক্ষায় নয় বরং বিকিয়ে দিতেই কাজ করেছে। খন্দকার মাহবুব ওই বই এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে।’ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের সংকলন সন্নিবেশিত করা হয়েছে এতে। অনুষ্ঠানে খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে গণজাগরণ হয়েছিল, যে আন্দোলন হয়েছিল, যে সফল হরতাল ও অবরোধ হয়েছিল, তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করতে সরকারের মদদপুষ্টরা সারাদেশে পেট্রোলবোমা হামলা করে মানুষ মেরেছে।’ গত ৫ জানুয়ারি থেকে তিন মাস বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে পেট্রোলবোমা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, আহত হয় বহু মানুষ।
×