নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা ও তালতলী, ৫ আগস্ট ॥ তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নে মাছ চুরির অভিযোগে রবিউল আউয়াল নামে ১০ বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান ইউনুছ ফরাজীর মাছের ঘের থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রবিউল স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। রবিউলের পিতা দুলাল মৃধা জানান, রবিউলের ডান চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের বাড়ির পাশে লুতরার খালে জাল পেতে প্রতিবেশী মিরাজ (২৫) মাছ ধরত। দুদিন আগে মিরাজ তাদের বাড়িতে এসে জালের মাছ চুরি হয়ে গেছে বলে জানায়। এ জন্য সে রবিউলকে দোষারোপ করে এবং তাকে পেলে দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সোমবার সন্ধ্যায় রবিউল মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সোহাগ নামে এক কিশোর স্থানীয় আমখোলা গ্রামের খালপাড়ে রবিউল আউয়ালের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজনদের খবর দেয়। রবিউল আউয়ালের বাবা দুলাল মৃধার উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন মিরাজকে (২৫) বুধবার দুপুরে কবিরাজপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে তালতলী থানার পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।
সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ ফরাজী বলেন, আমার কোন মাছের ঘের নেই। তবে আমার ভাই রফেজ ফরাজী ওই খালে মাছ ধরে। তিনি আরও স্বীকার করেন, রবিউলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আখতার জানান, শিশুটির বাম কপালে ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: