ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরের খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

পরিত্যক্ত ভবনের নিচে আতঙ্কের মধ্যে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৫ আগস্ট ২০১৫

পরিত্যক্ত ভবনের নিচে আতঙ্কের মধ্যে পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যেই ক্লাস করছে যশোর নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। কেবল পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করতেই প্রতিদিনই শঙ্কা নিয়ে ক্লাস রুমে যাচ্ছে তারা। আর একটু পলেস্তার খসে পড়লেই ভয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের এ আতঙ্ক ও দুরবস্থার কথা জানালেও গত দু’বছরে টনক নড়েনি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের। কেবল ভবন পরিত্যক্ত করেই দায় সেরেছে বিভাগটি। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহছানুর রহমান বলেন, ভবনটিতে ৭ম শ্রেণীর একটি, ৯ম শ্রেণীর ২টি, ১০ম শ্রেণীর ৩টি ক্লাস রুম রয়েছে। এছাড়া মসজিদ, লাইব্রেরি, স্টোর রুম, শিক্ষক কমনরুম ও বিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষ রয়েছে। ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে পলেস্তারা ধসে পড়ায় ও পানি চুইয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্লাস করতে চায় না। তারপরও পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বাধ্য হয়ে তারা জরাজীর্ণ কক্ষে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, মাঝে মধ্যে মাঠেও ক্লাস নিয়েছেন। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সাইন্স ল্যাবরেটরি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত সব ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। আবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, রেহেনা পারভীনসহ কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রতিবছর বিদ্যালয়টি থেকে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে থাকে। অথচ এমনটি একটি বিদ্যালয়ের ভবন থেকে সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়তে শুরু করে। মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এদিকে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহছানুর রহমান বলেন, তিনি বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালের ২ জুন সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর ডিও লেটার নিয়ে শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। পরে ১৫ জুন আবারও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। যে আবেদনে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ এমপির সুপারিশ ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরে মন্ত্রণালয় থেকে ভবন নির্মাণে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
×