ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাসেল-ফরাশগঞ্জ ম্যাচে আবারও ঝামেলা!

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৪ আগস্ট ২০১৫

রাসেল-ফরাশগঞ্জ ম্যাচে আবারও ঝামেলা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তবে কি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড বনাম ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ মানেই ‘অপয়া’ ম্যাচ? তা না হলে কেন এই দুটি দলের ম্যাচ দুই বারেও শেষ হবে না! প্রথমবার বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযোগী থাকায় মাত্র চার মিনিট খেলা হয়েছিল। ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি আবারও শুরু হয়েছিল। এদির বৃষ্টি না হওয়াতে মাঠও ছিল মোটামুটি ভাল। তারপরও ১৪ মিনিটের বেশি খেলা না হয়ে খেলা বন্ধ হয়ে যায়! ম্যাচের ১৪ মিনিটে নিজেদের বক্সে রাসেলের অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরীকে ফাউল করেন ফরাশগঞ্জের ডিফেন্ডার ফরহাজুজ্জামান বাবু। রেফারি জসিম উদ্দিন হলুদ কার্ড এবং পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মিডফিল্ডার জ জুলস ইকাঙ্গা পেনাল্টি শট নেন। বল জালেও ঢুকেছিল। কিন্তু বল গোললাইন অতিক্রম করার আগেই বক্সে ঢুকে পড়েন ফরাশগঞ্জ ও রাসেলের খেলোয়াড়রা! নিয়ম অনুযায়ী গোলটি বাতিল করেন রেফারি। ঠিক সে সময়ই রাসেলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগুজি ফরাশগঞ্জের ডিফেন্ডার মাহফুজ বাবুকে সরাতে গেলে (অথবা ঘুষি মেরে) তিনি বক্সের মধ্যেই পড়ে যান। রেফারি হলুদ কার্ড দেখান কিংসলেকে। কিন্তু রেফারির এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি ফরাশগঞ্জ। ক্লাবের চেয়ারম্যান সেলিম খানের দাবিÑ যেহেতু তার খেলোয়াড় বক্সের পাশে দাঁড়ানো অবস্থায়, তাকে আঘাত করেছেন কিংসলে, তাই রেফারির উচিত ছিল তাকে লাল কার্ড দেখানো। রেফারি যদি লাল কার্ড না দেন তবে যেন তার খেলোয়াড়রা মাঠে না ফিরে যায় এমন নির্দেশও তিনি দেন ফরাশগঞ্জের খেলোয়াড়দের। এরপর প্রায় ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় বন্ধ থাকে ম্যাচ। রেফারি ফরাশগঞ্জের খেলোয়াড়দের মাঠে ডাকলেও তারা খেলতে না রাজি হওয়ায় ‘রিফিউজ টু প্লে’-এর নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচটি শেষ ঘোষণা করে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে ম্যাচের রিপোর্ট জমা দেন ম্যাচ কমিশনার শেখ বদরউদ্দিন। পরবর্তীতে ম্যাচের ফল এবং ফরাশগঞ্জের শাস্তির বিষয়টি ঠিক করবে কমিটি। সেলিম খান অচিরেই এ ম্যাচের ফল নিয়ে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানিয়েছেন। পেশাদার লীগে ফরাশগঞ্জের এমন ‘অপেশাদারমূলক’ আচরণে ক্ষুব্দ শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হক, ‘আসলে ৯-১ গোলের হারের মতো ঘটনা ঘটতে পারেÑ এমন আশঙ্কার কারণেই হয় তো তারা এমনটা করেছে। পাড়া-মহল্লার খেলায় এমনটা হলে মানা যায়। পেশাদার লীগে এমন অপেশাদার আচরণ কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।’ এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী লীগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাইলজ অনুযায়ী রেফারিরা ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর মাঠ ত্যাগ করে। রেফারিদের প্রতিবেদন ও ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লীগ কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ এক্ষেত্রে শেখ রাসেলকে ২-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হতে পারে। এছাড়াও বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি বাইলজ অনুযায়ী ফরাশগঞ্জের পয়েন্ট কর্তন, আর্থিক জরিমানা এবং অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।’
×