ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গুলিবিদ্ধ শিশুটির উন্নতি

ছাত্রলীগ নেতা সুমনসহ দুই আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ৩ আগস্ট ২০১৫

 ছাত্রলীগ নেতা সুমনসহ দুই আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষকালে মাতৃগর্ভে নবজাতক ও মা নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১নং আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন সেন ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে। র‌্যাব-৪ এর একটি শক্তিশালী টিম রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে তাকে আটক করে। র‌্যাব জানায়-সুমন গ্রেফতার এড়াতে মাগুরা ছেড়ে রাজধানীতে এসে আত্মগোপন করেন। এদিকে মায়ের দুধ খাওয়ার পর শিশু সুরাইয়ার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। অন্যদিকে সুমনকে আটকের পর রাত আটটায় মাগুরায় আটক করা হয় মামলার এজহারভুক্ত ১৩ নম্বর আসামি নজরুল ইসলামকে। তাকে শহরের ঢাকা খুূলনা মহাসড়কের ওয়াপদা মোড়ে আটক করা হয়। তিনি পালিয়ে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাতে র‌্যাব সদর দফতরের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর মাতৃগর্ভে শিশু ও মা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার মূল নায়ক সুমন সেনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাকে মাগুরা থানায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে শিশু সুরাইয়াকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় খাবারে মায়ের দুধ আরও দুই মিলিলিটার বৃদ্ধি করে ৭ মিলিমিটার করেছেন চিকিৎসকরা। রবিবার সকাল থেকে এ পরিমাণ বাড়ানো হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে এই মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কানিজ হাসিনা শিউলি জানিয়েছেন, শনিবার ২৪ ঘণ্টায় তিন ঘণ্টা পর পর ৫ মিলিলিটার করে শিশুটির মায়ের দুধ সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ানোর পর দেখা গেছে, শিশুটি তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পেরেছে। তাই তার শরীরের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে আরও দুই মিলিলিটার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারছে শিশুটি। জানা গেছে, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টা পরীামূলকভাবে শিশুটিকে তার মায়ের বুকের দুধ দুই মিলিলিটার করে সিরিঞ্জ দিয়ে পান করানো হয়। দেখা গেছে শিশুটি তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছে। এটি দেয়া হয়েছিল তিন ঘণ্টা পর পর। শনিবার সকাল থেকে মাত্রা বাড়িয়ে পাঁচ মিলিলিটার করা হয়েছিল। রবিবারও মা-মেয়ে পরস্পর পরস্পরের ছোঁয়া পায়নি। ডাঃ কানিজ হাসিনা শিউলি জানিয়েছেন, শঙ্কামুক্ত না হওয়া এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকায় শিশুটিকে নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) থেকে বের করা হচ্ছে না। গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন শিশুটির মা নাজমা বেগম শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তাকেও নেয়া যাচ্ছে না শিশুটির কাছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় আধিপত্য নিয়ে যুবলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির মা নাজমা বেগম। তাঁর পেট ফুঁড়ে গুলি গিয়ে লাগে গর্ভের শিশুটির শরীরে।
×