ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবি ॥ সরকারও কঠোর অবস্থানে

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ভাংচুর ॥ তীব্র যানজট

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩ আগস্ট ২০১৫

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ভাংচুর ॥ তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সারাদেশে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলে সরকারী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে চালক ও মালিকরা। বিক্ষোভের সময় নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, দাউদকান্দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মালিক-চালকরা। এতে পুলিশসহ সারাদেশে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়ক এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বলছেন, সরকার ওই সিদ্ধান্ত ঠিকই বাস্তবায়ন করবে। জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঠিকমত ‘না বুঝেই’ চালকরা আন্দোলনে নেমেছেন বলে মন্তব্য করেন সচিব। শনিবার সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অটো চালক-শ্রমিকদের জরিমানা করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর প্রতিবাদে ওইদিনই বিক্ষোভ করে মালিক-শ্রমিকরা। যা রবিবারও সারাদিন চলেছে। এ বিষয়ে সড়ক এবং সেতু সচিব রবিবার সংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের আড়াই লাখ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যা মোট সড়কের এক দশমিক ৪২ শতাংশ। জাতীয় মহাসড়ক বাদে অন্যসব সড়কেই তিন চাকার যান চলতে পারবে। জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সরকার বাস্তবায়ন করবে। এ থেকে সরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন জেলায় কতটুকু জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক সচিব বলেন, ওই মানচিত্র ওয়েবসাইটেও দেয়া আছে। গত বছর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি না চালানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু অটোরিক্সা ও নছিমন চালকদের আন্দোলনের মুখে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মহাসড়কে অটোরিক্সা, টেম্পো এবং অযান্ত্রিক সব তিন চাকার বাহন নিষিদ্ধ করে গত ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সচিব বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার বাহনের চলাচল ঠেকাতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, ডিআইজি হাইওয়ে এবং এসপিদের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএর নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেটরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছেন। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার এবং নিজস্ব সংবাদদাতাদের খবরে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি, সিলেট, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে অটোরিক্সা চালক ও মালিকরা। অন্যদিকে মহাসড়ক বন্ধের নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন। সংগঠনটি রবিবার প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহাসড়কে অটোরিক্সা চালানোর সরকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ॥ মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও মালিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আধঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রবিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। দাউদকান্দি ॥ কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাজীপুর নামক স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে অটোরিক্সা মালিক ও চালকরা। ফলে মহাসড়কে ৪৫ কি.মি. দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অটোরিক্সা চলাচল শুরু করলে পুলিশ কিছু সিএনজি আটক করলে সকাল ১০টায় মালিক ও চালকরা ওই এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। সিএনজি চালকরা জানায়, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবরোধের খবর পেয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুবায়দুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান শেষে মহাসড়ক থেকে অবরোধ সরিয়ে নিলে এক পর্যায়ে হঠাৎ করে দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই তপন কুমার বাগচী, এএসআই দোলোয়ার হোসেন মালিক ও চালকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। মালিক ও চালকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ভাংচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। যাত্রীদের আতঙ্কে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। অটোরিক্সা মালিক ও চালকদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই তপন কুমার বাগচী ও এএসআই দোলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধকারীরা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। একটানা ৩ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর দুপুর ১টায় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে এসে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত এসআই তপন কুমার বাগচীকে প্রত্যাহার ও এএসআই দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। রাজশাহী ॥ সরকারী নির্দেশনায় রাজশাহীর মহাসড়কগুলোতে অটোরিক্সা টেম্পো ভটভটি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কগুলোতে অটোরিক্সা চলাচলে বাধা দেয় পুলিশ। দুইদিনে প্রায় শতাধিক অটোরিক্সা, ভটভটি আটক করেছে। এ সময় অন্তত ৮০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়মনসিংহ ॥ মহাসড়কে সিএনজি অটো রিক্সাসহ থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাওসহ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে থ্রি হুইলার চালক ও মালিকেরা। চালক ও মালিকদের মিছিলটি শহরের পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে। গাজীপুর ॥ মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার গাজীপুরে মালিক ও চালকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন করেছে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও আন্দোলনরতরা জানায়, মহাসড়কে অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক ও শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা শতাধিক অটোরিক্সা মহাসড়কের উপর এলোপাতাড়ি রেখে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়ক মহাসড়কগুলোতে যানবাহন আটকা পড়ে। নরসিংদী ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশী বাধার মধ্যে রবিবার সারাদিনই রিক্সা অটোরিক্সাসহ তিন চাকার গাড়ি চলাচল করেছে। বরিশাল ॥ মহাসড়কে অবৈধ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, মাহেন্দ্রসহ সকল থ্রি হুইলার যান বন্ধ করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার সকালে পৌর মেয়র মহাসড়কে বাস চলাচলে বাধা প্রদান করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ওইদিন দুপুর থেকে জেলার ১৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। একইদিন বাস শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আকস্মিকভাবে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১৫টি রুটের হাজার-হাজার যাত্রী পড়েছেন দুর্ভোগে। টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে পুলিশের বাসে হামলা করেছে ধর্মঘটী সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা। রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কের পুটিয়াজানি বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল জেলায় রবিবার সকাল থেকে শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও টেম্পো চলাচল বন্ধ থাকায় ভোর থেকে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রী। যাত্রীবাহী বাস পর্যাপ্ত না থাকায় তারা অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যাতায়াত করতে পারছে না। সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল না করায় টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে বাসাইল, সখীপুর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ভুঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, গোপালপুর, মধুপুর, ধনবাড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা সড়কগুলোতে চলাচল করা মানুষের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রূপগঞ্জ ॥ মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিক্ষুব্ধ অটোরিক্সা চালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এ সময় তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রবিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ভুলতা, গোলাকান্দাইল ও রূপসী এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন অটোরিক্সা চালকরা। কেরানীগঞ্জ ॥ কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদ এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সিএনজি (অটোরিক্সা) চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে ও বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোল মুক্তির দাবিতে সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর টোলমুক্ত সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটামের ২য় দিন রবিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ৪-৫টি গাড়ি ভাংচুর করে। অবরোধ চলাকালে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু দিয়ে মাওয়া ও দক্ষিণবঙ্গগামী সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা মাওয়া সংযোগ সড়কে নেমে পায়ে হেঁটে, ভ্যানে করে রাজধানীতে প্রবেশ করে। কলাপাড়া ॥ কলাপাড়া-পটুয়াখালী এবং কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটো, টমটমসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় শত শত দোকানিও বিপাকে পড়েছেন। কলাপাড়া শহর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনের কোন সুযোগ নেই। ফলে পিকআপ কিংবা পায়ে চালিত রিক্সা-ভ্যানে মালামাল পরিবহনে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ফলে দামও বেড়ে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের। রবিবার থেকে পুলিশী অভিযানে মহাসড়কে অটো, টমটমসহ অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের মাঝে সরকারের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমতলী (বরগুনা) ॥ মহাসড়কে অটোরিক্সা, টেম্পো ও অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ আদেশ প্রত্যাহরের দাবিতে রবিবার আমতলীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। সকাল ১০টায় ডাকবাংলা সড়ক থেকে শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ করে আমতলীর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। টঙ্গী ॥ সরকারী সিদ্ধান্তে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধ হলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী চৌরাস্তা মহাসড়কে দৌর্দ- প্রতাপে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা এবং পায়ে চালিত অটোরিক্সা। এতে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা আরও ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় যাত্রীসাধারণ। স্থানীয় যাত্রীরা বলছেন, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সিএনজিচালিত অটোরিক্সা বন্ধ করলেও ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও পায়ে চালিত রিক্সা কেন বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছে না। সিলেট ॥ মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুরে অবস্থান নেয় অটোরিক্সা (সিএনজি) শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। সকাল ৬টা থেকে নেতৃবৃন্দ রশিদপুরে অবস্থান নেন। সরকার সারা দেশের মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও অটোটেম্পো চলাচল ১ আগস্ট থেকে নিষেধ করেছে। মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল নিষিদ্ধের ফলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ও সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে অটোরিক্সা ও অটোটেম্পো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা অংশে মহাসড়কসহ সংযোগ রাস্তাগুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল না করায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রবিবার সকালে বেশ কিছু সিএনজি মহাসড়কে অবস্থান নিলেও পুলিশী বাধায় চলাচল করতে পারেনি।
×