ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালী-কালকিনি

নির্যাতনের শিকার শিশু ও কিশোর

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২ আগস্ট ২০১৫

নির্যাতনের শিকার শিশু ও কিশোর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১ আগস্ট ॥ আমার বাবাও ছিল। বাবার সঙ্গে খেতে বসেছিলাম। ভাতের সঙ্গে তরকারি একেবারই কম দিয়েছে মা। তাই দ্বিতীয়বার এক টুকরা আলু চেয়েছিলাম। দেয়নি। উল্টো গালমন্দ শুরু করে এবং তরকারির চামুচ দিয়ে খুব মারে। বাবাও চড়-থাপ্পড় দিয়েছে। পরে দরজা বন্ধ করে লোহার সরু রড দিয়ে খুব মেরেছে মা। আমি অনেক চিৎকার দিলে আমাদের বাড়ির অন্যান্য লোকজন এলে মা দা নিয়ে লোকজনকে তাড়ালে সবাই চলে যায়। আমি কথা বলতে পারছি না। খুব ব্যথা করছে। দেখেন পুরা শরীরকে কি করেছে! শনিবার বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ বছরের শিশু আশরাফুল হোসেন শাকিব কাতরাতে কাতরাতে এমন করে কথাগুলো বলে। গত শুক্রবার দুপুরে সৎমা বিলকিছ বেগমের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। আহত শাকিব উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের রুহুল আমিনের প্রথম স্ত্রীর ছেলে। সে ঘরে ৩ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে শাকিব সর্বকনিষ্ঠ। নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, জাল টাকা ভাঙ্গানোর অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে কালকিনিতে মোঃ উজ্জল হাওলাদার-(১৮) নামের এক অসহায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালককে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তবে তার পরিবারের অভিযোগ পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ নির্যাতন চালানো হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার ক্রোকিরচড় গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আলী হাওলাদারের ছেলে উজ্জল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছে। যাত্রী নিয়ে এ মোটরসাইকেল চালিয়ে উপজেলার ডাকবাংলো অফিসের সামনে এলে স্থানীয় মোঃ বেল্লাল হোসেনসহ ৪-৫ জন প্রভাবশালী মিলে জাল টাকা ভাঙ্গানোর অভিযোগ দিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে তাকে পেটায়। এ নির্যাতনের খবর পেয়ে কালকিনি থানার এএসআই মোঃ জুয়েল হোসেন এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত উজ্জলের বাবা মোঃ জয়নাল আলী হাওলাদার বলেন, আমার ছেলের ওপর যে অভিযোগ এনে নির্যাতন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে এ নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এ নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।
×