ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা পুত্রসহ নিহত ৬

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২ আগস্ট ২০১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা পুত্রসহ নিহত ৬

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১ আগস্ট ॥ যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর ২ জনসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১৫ জন। শনিবার বিকালে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার শিকারপুর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ইকোনো পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ১ জন ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ২ জনসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী। এ দুর্ঘটনায় আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সিলেট ॥ সিলেটের গোলাপগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা ও পুত্রের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ি হাজীপুর ঘনশ্যাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার এখলাছ উদ্দিন (৭০) ও তার ছেলে আলতাফ উদ্দিন (৩৫)। তারা দুইজনই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। আহত জমির উদ্দিনের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। বড়লেখা থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে তারা ওসমানী বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। মৌলভীবাজার ॥ শনিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধাক্কায় আবু তাহের (৯৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আব্দুল খালেককে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের জলমহালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ১ আগস্ট ॥ সুনামগঞ্জে স্থানীয় এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে জলমহালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। দোয়ারাবাজার উপজেলার ‘বন্দেহরী গ্রুপ’ জলমহালে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নামে বেনামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিকের নামে এসব চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে মৎস্যজীবীরা জানান। জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্যজীবী আইডি কার্ডধারী প্রকৃত জেলেদের মাছ ধরার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু মইনুল, বকুল, আশাদ, ছাত্তার, আফতার আলীসহ নামধারী যুবলীগ নেতা সংশ্লিষ্ট মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ইজারাবিহীন জলমহালে দলের প্রভাব খাটিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিল, নদীর খাড়া সাব-ইজারা দেয়া হচ্ছে। তম্মধ্যে নয়ালাইন, পুরান লাইন, ছোট নাইন্দা, নয়াহাওর, বিশনাই বিল সাব-ইজারা দেয়া হয়ে গেছে। এসব বিল থেকে এক থেকে তিন লাখ টাকা আগাম নেয়া হয়েছে। যাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বেতুড়া গ্রামের কাইয়ুম, সনতু মিয়া, জমির, হাফিজুল, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের লিলু মিয়া, মান্নারগাঁও গ্রামের বরুণ দাশ। এরা সাব-ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে এই সব বিলে মাছ আহরণকারীদের কাছ থেকে ধৃত মাছের অর্ধেক ভাগ নিচ্ছে অথবা সম পরিমাণ টাকা দিতে বাধ্য করছে জেলেদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের মাছের অর্ধেক নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কয়েক যুবক। জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, তাদের ভাগ না দিলে হাওড়ে মাছ ধরতে দেয়া হয় না। তারা আরও জানায়, তাদের দাবিকৃত মাছের ভাগ বা টাকা না দিলে জাল নৌকা আটক করা হয়। মাছ ধরাবস্থায় রায়নগর গ্রামের আব্দুস শহিদ, ফজর আলী, ফয়জুন নুর, রোমেদ মিয়া জানায়, বন্দেহরী গ্রুপকে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা এমপির নামে ভাগ দেয়া হয় নতুবা তাদের মাছ ধরতে দেয়া হয় না। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলেও জানায়। “বন্দেহরী গ্রুপ” জলমহালে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ’ জেলে মাছ ধরতে আসে এবং প্রত্যেক জেলের সঙ্গেই একজন করে লোক ভাগ নিতে আসে।
×