ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ ॥ শোকাবহ আগস্ট মাসের বিশেষ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২ আগস্ট ২০১৫

‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ ॥ শোকাবহ আগস্ট মাসের বিশেষ অনুষ্ঠান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে চ্যানেল আই ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ নামে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। চ্যানেল সূত্রে জানা গেছে, আগস্টজুড়ে চ্যানেল আইতে প্রতিদিন রাত ৮-৪৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ অনুষ্ঠানটি। ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ অনুষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটির নির্মাণ পরিকল্পনায় ফরিদুর রেজা সাগর এবং শাইখ সিরাজ এবং সমন্বয়ে ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক, গবেষণা শামসুজ্জামান খান। প্যানেল প্রযোজনায় রয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু ও রাজু আলীম। চ্যানেল আইতে ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ প্রচার হবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা পাঠ করবেন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের নির্বাচিত অংশ। অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্বে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বইটির পা-ুলিপি সংগ্রহ ও প্রকাশনা বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন’ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে অংশ নেবেন মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক, শামসুজ্জামান খান, সেলিনা হোসেন, নূহ আলম লেনিন, কামাল লোহানী, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ হাসান ইমাম, নির্মলেন্দু গুণ, মুনতাসীর মামুন, রাহাত খান, রামেন্দু মজুমদার, আবুল হায়াত, আতাউর রহমান, গোলাম সারওয়ার, আসাদ চৌধুরী, রুবী রহমান, আয়শা খানম, আবেদ খান, মামুনুর রশীদ, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, মফিদুল হক, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম কুদ্দুস, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী, হাসেম খান প্রমুখ। আগস্ট বাঙালীর শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই থেকে আগস্ট বাঙালীর শোকের মাস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটি বিশাল অংশ কেটেছে কারাগারে বন্দী অবস্থায়। ১৯৬৭ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বন্দী অবস্থায় বন্ধু-বান্ধব এবং স্ত্রীর অনুরোধে নিজের জীবনী লেখা শুরু করেছিলেন। কারাবন্দী অবস্থায় নিজের জীবনীর অনেকটা অংশ ডায়েরির খাতায় লিখেওছিলেন। দীর্ঘদিন পরে ২০০৪ সালে সেই ডায়েরি আবিষ্কৃত হয়ে এসে পড়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তারপরে সেই ডায়েরির লেখা পাঠোদ্ধার করে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী। যা রয়ে গেছে অসম্পূর্ণ। তাই লেখাগুলো যখন বই হিসেবে মলাটবন্দী করা হয় নাম দেয়া হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নামে। দেশ যখন অন্যায় শাসন ও শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে চলেছে, ঠিক তখনই শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। তাঁর অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই বাঙালী তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কারাবন্দী অবস্থায় রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, তাঁর বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজ জীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকা-, দুর্ভিক্ষ, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, দেশভাগ, মুসলিম লীগের রাজনীতি, পূর্ব বাংলার রাজনীতি, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, সরকার গঠন, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন বিষয়ে তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি এখানে তুলে ধরেছেন নিজের কারাজীবন, পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তানের কথা। এসবের পাশাপাশি চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকায় বইটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবনীও একই সঙ্গে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ইতিহাস।
×