ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে কৃষক

দাবদাহে পুড়ছে ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ৩০ জুলাই ২০১৫

দাবদাহে পুড়ছে ঠাকুরগাঁও

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৯ জুলাই ॥ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যখন বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে একই সময়ে উত্তরাঞ্চলে চলছে প্রচ- তাপদাহ। ঠাকুরগাঁও ও এর আশপাশে জেলায় শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে ও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে। প্রচ- তাপদাহে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছে। শনিবার থেকে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড চলছে। স্থানীয় অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৩৫ দশমিক ৫, রবিবার ও সোমবার ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী, মঙ্গলবার ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রী ও বুধবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা কৃষি অফিস জানায়, বষার্র এ মৌসুমে তিন ভাগের দুই ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারলেও তাপদাহের কারণে আমন ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে এবং লাগানো ধানের গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করেও রক্ষা করতে পারছে না কৃষক। কৃষকদের দাবি আমনের ভরা মৌসুমের বৃষ্টি পানি না হওয়ায় ক্ষেতে পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে করে কৃষকের খরচের পাশাপাশি আমনের ফলনের ব্যাহত হতে পারে। শ্যালো মেশিন দিয়ে আমন রোপণ করা হলে এর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কৃষক হতাশ হয়ে পড়ছে। এছাড়া প্রচ- তাপদাহের কারণে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়ছে। চৌগাছায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীর চুল কর্তন স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আহত অবস্থায় গৃহবধূকে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মাঠচাকলা গ্রামে। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন জানান, সাত বছর পূর্বে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের মাঠচাকলা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সিংহঝুলী ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের সামারুল ইসলামের মেয়ে মৌসুমি খাতুনের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। স্বামীর চাপের মুখে স্ত্রী মৌসুমি খাতুন দরিদ্র পিতার নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেয়। দু’এক মাস পর টাকা শেষ হলে আবারও সে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। স্বামীর সঙ্গে যোগ দেয় শ্বশুর মুক্তার হোসেন ও শাশুড়ি ছানু বেগম। মঙ্গলবার পুনরায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয়। এ সময় মৌসুমি টাকা দিতে অপারগতা জানালে শুরু হয় সীমাহীন নির্যাতন। ব্যাপক মারপিটে ও আঘাতের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন পাষ- স্বামী মৌসুমির চুলের মুঠি ধরে মাথার চুল কেটে দেয়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে ঘরের মেঝেতে সে পড়ে আছে এবং তার মাথার কাটা চুলও সেখানে পড়ে আছে। নওগাঁয় শিক্ষিকা হাসপাতালে নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ডিগ্রী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উম্মে কুলসুম মুগ্ধা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি নওগাঁ সদর হাসপাতালের ৭ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বামী তানজিমুল হক ও ননদ রশিদা বেগম তার ওপর এই নির্যাতন চালিয়েছেন বলে মুগ্ধা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনে মুগ্ধার মাথা ও মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম হওয়ায় তার স্বজনরা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
×