ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩০ জুলাই ২০১৫

আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা হচ্ছে

রহিম শেখ ॥ বেসরকারী খাতকে চাঙ্গা করতে উৎপাদনমুখী ও বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নয়া মুদ্রানীতিতে। ঋণ প্রবাহ বাড়াতে নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারী খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হচ্ছে। এতে পুঁজিবাজারে স্বস্তি, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে আস্থা ও উৎসাহ যোগানে উদ্যোগ নেয়া হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় থাকবে বিশেষ উদ্যোগ। তবে মুদ্রানীতির ভঙ্গি হবে আগের মতোই সময়োপযোগী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাজারে ঋণের চাহিদা বাড়াতে ঋণের সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে নয়া মুদ্রানীতিতে। ঋণের চাহিদা সৃষ্টিতে এসএমইর মতো আরও কিছু খাতকে এবার বেছে নেয়া হবে। এবারের বাজেটে মোট দেশজ আয়ের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। ফলে এবারের মুদ্রানীতিতে এর প্রতিফলন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল জনকণ্ঠকে বলেন, এবারের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঋণ প্রবাহ বাড়ানো এবং শেয়ারবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, মূূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই প্রবৃদ্ধি অর্জনই এখন প্রধান লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গতানুগতিক ধারায় এবারও মুদ্রানীতিকে সংকোচনশীল বা সম্প্রসারণমুখী কোনটাই বলা হবে না। বেসরকারী ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ প্রবাহ গতিশীল করার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে। মূলত মুদ্রানীতির ভঙ্গি হবে সময়োপযোগী।
×