ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিসিদের জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, সব কর্মকর্তা কর্মচারীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে

জেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩০ জুলাই ২০১৫

জেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে ডিসিদের জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া পর্যায়ক্রমে সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী সম্পর্কে জেলা প্রশাসকদের অবহিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। পাশাপাশি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও জেলা প্রশাসকরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন সরকারের কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন ডিসিরা। তবে এ নিয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আলোচনার কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেননি মন্ত্রী। সম্মেলনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কাজের গতি আনতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, বাড়তি কাজের চাপ সামাল দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে জনবল বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনাও করছে সরকার। ইউনিয়ন সচিবের কাজে সহায়তার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে লোক নিয়োগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সম্মেলনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে ৪ হাজার ৮০০ ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ইউনিয়ন সচিবের কাজের চাপ কমাতে একজন করে লোক নিয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, সুপেয় পানি সহজলভ্য করতে গ্রামীণ জনপথে সরকারী জলাশয় সংস্কার ও পুনঃখনন করা হবে। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের সরকারী জলাধারের তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়কে দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ৩ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার পাকা। পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ জনপদের পুরো রাস্তাই পাকা করা হবে। তিন পার্বত্য জেলায় বরাদ্দ বাড়ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভূমি হস্তান্তরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বড় ধরনের অর্থ আয় করলেও পার্বত্য তিন জেলার জটিলতার কারণে ভূমি হস্তান্তরে অর্থ পায় না। এ কারণে পার্বত্য তিন জেলায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
×