ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে ই-জিপি সচেতনতা কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৯ জুলাই ২০১৫

সরকারী ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে ই-জিপি সচেতনতা কার্যক্রম শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক গবর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় এ কার্যক্রম করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ই-জিপির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও প্রসারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে একদিনের কর্মশালা মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমই বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ (পিপিআরপি-২)-এর আওতায় দেশে ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের সহায়তায় দেশের ৬৪টি জেলায় পর্যায়ক্রমে ই-জিপি সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কর্মশালায় জেলা পর্যায়ে সরকারী ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, টেন্ডারার ও মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এসব কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন। সিপিটিইউ’র মনোনীত একজন রিসোর্স পার্সন এসব কর্মশালায় ই-জিপি বিষয়ক নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা দেবেন। সূত্র জানায়, সরকারী ক্রয় কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সমআচরণ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকল্পে এবং জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২ জুন ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক গর্বামেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সরকারী ক্রয়ে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়। ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ই-জিপি গাইডলাইন জারি করা হয়। পিপিআরপি-২ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সিপিটিইউ চারটি টার্গেট এজেন্সিতে (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ) পাইলট ভিত্তিতে ই-জিপি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য সংস্থায় ই-জিপি পোর্টালের মাধ্যমে ই-জিপি কার্যক্রম চালু করা হয়। সরকারী ক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গত ২৬ জুলাই পর্যন্ত চারটি টার্গেট এজেন্সিসহ ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৯৮টি সংস্থার মোট ১ হাজার ৯৪৯টি ক্রয়কারী ই-জিপি সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ক্রয়কার্য পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে এই সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ২৬ হাজার ৭৮৭টি ই-টেন্ডার/প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। ই-টেন্ডারিংয়ের জন্য মোট ১৫ হাজার ৬৪৯ জন টেন্ডারার ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র জামানত, কার্য সম্পাদন, জামানতসহ রেজিস্ট্রেশন ফি, নবায়ন ফি ও টেন্ডার ডকুমেন্ট ফি গ্রহণের জন্য ৩৯টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং মোট ১ হাজার ৭১৫টি শাখার মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
×