ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দিন পরে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ জুলাই ২০১৫

দুই দিন পরে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দুই দিনের পতন শেষে মঙ্গলবার সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে। বেশিরভাগ কোম্পানির চাহিদা বাড়ার দিনে লেনেদেনও বেড়েছে দুই বাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭২০ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। উভয় পুুঁজিবাজারেই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। স্কয়ার ফার্মার মতো দু’একটি কোম্পানির লভ্যাংশকে ঘিরে চাহিদা বাড়লেও মূলত আর্থিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজার পর্র্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দুই দিনের পতনের ধারাবাহিকতা থেকে মঙ্গলবার সকালেই বের হয়ে আসে প্রধান পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বাড়তে থাকে। দিনশেষে ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় ৭১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ১১ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এ বাজারে ৬৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৮ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৬টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার দর। ডিএসইতে দিনটিতে বেসরকারী খাতের জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার দিনে ডিএসইতে খাতটির সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। মোট ১১৭ কোটি টাকার লেনদেন করে খাতটি সার্বিকভাবে মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৯২ ভাগ দখল করেছে। এছাড়া স্কয়ার ফার্মার আধিপত্যের দিনে খাতওয়ারি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৩৬ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা যা সার্বিক লেনদেনের ১৫.২০ ভাগ। সকালে সূচকের উত্থান দিয়ে শুরুর পরে প্রধান বাজারের ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৮৯ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউপিজিডিসিএল, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, আরএকে সিরামিক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড এবং আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, মুন্নু সিরামিক, ইসলামিক ফাইনান্স, এশিয়ান টাইগার মিউচুয়াল ফান্ড, ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম মিউচুয়াল ফান্ড, বিডি ওয়েল্ডিং, আরামিট সিমেন্ট, পিএইচপি ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ১ম মিউচুয়াল ফান্ড ও জিএসপি ফাইনান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- সাভার রিফ্যাক্টরিজ, ঝিল বাংলা সুগার মিল, জুটস স্পিনার্স, স্টাইল ক্রাফট, বিজিআইসি, প্রগতি লাইফ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, দুলা মিয়া কটন, সায়হাম কটন ও রূপালী ইন্স্যুরেন্স। দিনটিতে ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজারেও লেনদেনের সঙ্গে সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬০ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ৮৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা ও পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফাইনান্স লিমিটেড।
×