ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁদের লক্ষ্য অলিম্পিক

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৯ জুলাই ২০১৫

চাঁদের লক্ষ্য অলিম্পিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাময়িক স্বস্তি পেলেন ভারতের বিতর্কিত স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ। কোর্ট অব অর্বিট্রেশন ফর স্পোটর্সের (সিএএস) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন তিনি। নারী হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন দ্যুতি চাঁদ। কিন্তু তার শরীরে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি পুরুষ হরমোন পাওয়া যায়। এরপর তিনি হরমোন চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানান। আর তাতে তাকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়। তবে এর বিরুদ্ধে আপীল করে আগামী দুই বছরের জন্য খেলার সুযোগ পেলেন চাঁদ। সুযোগ পেয়েই উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছেন তিনি। এ বিষয়ে চাঁদ বলেন, ‘আমি খুবই খুশি এবং মুক্ত।’ ভারতের অনুর্ধ ১৮ এর ১০০ মিটারের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চাঁদ। নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয় তার। বিশেষ করে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। আর এই সময়টা ব্যাপক হতাশার মধ্য দিয়েই কেটেছে তার। এ বিষয়ে ১৯ বছর বয়সী দ্যুতি চাঁদ বলেন, ‘এই সময় আমাকে চরম ভুগান্তি এমনকি অবমাননার শিকার হতে হয়েছে। এখন আমি অতীতের সবকিছুই ভুলে যেতে চাই। সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাই।’ এইসব কথা যখন বলছিলেন তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছিলেন তরুণ প্রতিভাবান এই দৌড়বিদ। গত কমনওয়েলথ গেমসের শেষ মুহূর্তে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন দ্যুতি চাঁদ। স্বপ্ন তৈরির আগেই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় ভারতীয় এই এ্যাথলেটের। শুধু কমনওয়েলথ গেমস নয় এরপর এশিয়ান গেমসেও খেলতে পারেননি তিনি। তবে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে চাঁদের দাবি ছিল তিনি এমনভাবেই জন্মগ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনই কোন ধরনের ড্রাগ গ্রহণ করিনি। আমি এমনভাবেই জন্মেছি। আমাকে খেলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ ভারতের একেবারে পল্লী অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন দ্যুতি চাঁদ। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তরুণ প্রতিভাবান এই দৌড়বিদ মনে করছেন এমন আইন হওয়ার কারণে শুধু তিনি নিজে নন বরং অন্য এ্যাথলেটদের জন্যও উপকার বয়ে আনবে, ‘আমি মনে করি এমন আইন কেবল আমার জন্যই যে সুফল বয়ে আনবে তা নয়। বরং আমার মতো এ রকম অনেক ক্রীড়াবিদদের জন্য এটা এক মাইলফলক আইন হিসেবে বিবেচিত হবে।’ চাঁদ বর্তমানে ভারতের হায়দরাবাদে স্পোর্টস একাডেমিতে অনুশীলন করছেন। নতুন নিয়মে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর প্রথমেই তার লক্ষ্য হচ্ছে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা। সে জন্য তাকে বাছাইপর্বে চোখ রাখতে হবে। চাঁদের প্রিয় ইভেন্ট হলো ১০০ এবং ২০০ মিটার। নিজেকে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত করার জন্য এখনও ছয়-সাত মাস হাতে পাচ্ছেন তিনি। আর তার বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘আমার পারফর্মেন্স এখন আগের মতো নেই। যে কারণে এটা খুবই কঠিন হবে। তবে এটা মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য আমার হাতে এখনও সাত মাস বাকি আছে। এই মুহূর্তে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। আমি মনে করি আমার ওপর সৃষ্টিকর্তার রহমত আছে।’
×