ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণে বৃষ্টি, উত্তর পুড়ছে রোদে

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৯ জুলাই ২০১৫

দক্ষিণে বৃষ্টি, উত্তর পুড়ছে রোদে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ চট্টগ্রামসহ সাগরপাড়ের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও, এর ভিন্ন চিত্রের আবহাওয়া উত্তরবঙ্গে। আষাঢ় মাসে ছিল পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত। শ্রাবণের শুরুতে বৃষ্টি হয়। কিন্তু সেই বৃষ্টি হঠাৎ হারিয়ে গেছে। বর্ষাকালের তাপমাত্রার গরমে জনজীবনে হাসফাসের প্রচ- রোদে পুড়ছে নীলফামারীসহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় চট্টগ্রামসহ সাগরপাড়ের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। মৌসুমী অক্ষরেখাও তার স্বাভাবিক অবস্থানে রয়েছে। সে কারণে বৃষ্টি বঞ্চিত থাকছে উত্তরবঙ্গের নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের আট জেলা। বাতাসে আর্দ্রতা থাকলেও, বৃষ্টি নেই। উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে মেঘও নিম্নচাপের টানে সাগরপাড়ে চলে গিয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। রোদের তেজে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাস্তাঘাট, হাটবাজারে তুলনামূলক কম ভিড় দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে গরমে আক্রান্ত নারী-পুরুষের ভিড় বেড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রী বেশি এবং এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটিও স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় ভ্যাসপা গরম অনুভূত হচ্ছে। এ তথ্য জানান ডিমলা উপজেলায় অবস্থিত আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হামিদুল ইসলাম। এদিকে, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচের মাধ্যমে আমনের চারা জমিতে রোপণে বাধ্য হচ্ছে। ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৩ দিন ধরে বৃষ্টি নেই। ফলে পানির অভাবে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির ও তাপদাহের কারণে ক্ষেতের রোপা আমন মরে যেতে শুরু করেছে। একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান, শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়েও আমন ক্ষেত রক্ষা করা যাচ্ছে না। রোদের তাপে শ্যালোর পানিও নিমিষেই শুকিয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিভিন্ন স্থানে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
×